জগৎবল্লভপুরে অবৈধ নির্মাণ বন্ধ হাইকোর্টের আদেশে

নাজমুস সাহাদাত : হাওড়া জেলার জগৎবল্লভপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন বড়গাছিয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এর পার্বতীপুর এলাকায় বেআইনিভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধের আদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। পার্বতীপুরে শেখ নজরুল এবং তার সহযোগী মিলে ভূমি সংস্কার দপ্তর ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের অনুমতি ছাড়াই বলপূর্বক ভাবে পার্বতীপুর মৌজা, জে এল নাম্বার 52 স্থায়ী নির্মাণকার্য পরিচালনা করছিলেন। সিরাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য জমির অধিকাংশ মালিকের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও। সিরাজুল ইসলাম ও তার সহযোগী গন স্থানীয় পঞ্চায়েত, থানা, ও ব্লক স্তরিয় প্রশাসনকে বিষয়টি লিখিত আকারে অভিযোগ রূপে জানাই। তাতে সন্তোষজনক ফল না পাওয়ায় তথা অভিযোগের ভিত্তিতে সুবিচার না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের দ্বারস্থ হন।

    কলকাতা হাইকোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী তথা জগতবল্লভপুর বিধানসভার পরিচিত বিশিষ্ট সমাজসেবী মোফাক্কেরুল ইসলাম, আইনজীবী মাসুদ করিম, আইনজীবী সৈয়দ মুর্শিদ আলম তথা এম,কে এসোসিয়েট সমস্ত বিষয়টি শুনে এবং লিখিত অভিযোগের তথ্য নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করেন। কলকাতা হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী সমস্ত কাগজপত্র, অভিযোগ এবং উকিল বাবুদের সন্তোষজনক আবেদনে সাড়া দিয়ে মহামান্য বিচারপতিআদেশ দেন ” ওই সম্পত্তিতে আগামীতে কোনো রকম নির্মাণকার্য করতে পারবে না যতক্ষণ না স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও তৎসহ স্থানীয় প্রশাসন নির্দিষ্ট কোন প্ল্যানিং জমা দিয়ে ছাড়পত্র পাই । কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি সাহেবের আদেশ হাতে পাওয়ার পর মামলাকারী সিরাজুল সাহেব আনন্দিত হয়ে বলেন ” ভারতবর্ষের আইন ও ভারতবর্ষের বিচার ব্যবস্থা আস্থা রেখে কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিলাম আইনজীবীদের সহযোগিতায় সুবিচার পেয়ে আজ আনন্দিত। আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম বলেন ” জীবিকার সাথে সাথেমানুষের সহযোগী হিসাবে মানুষের সুবিচার পাইয়ে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। আইনজীবী মাসুদ করিম ও সৈয়দ মুর্শিদ আলম বলেন ” শুধু অবৈধ নির্মাণ নয় আমরা সমাজের যেকোনো নিপীড়িত ও আইনি জটিলতায় জর্জরিত মানুষকে সুবিচার পাইয়ে দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকি এম, কে এসোসিয়েট এর মাধ্যমে।