|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : শ্রীরামপুরের দুই বারের তৃণমূলের সংসদ কল্যান ব্যানার্জি বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে একাংশ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে, এটা স্বপ্নেও বাইরে ছিল হয়তো! সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটের উপর ভর করেই দাঁড়িয়ে তৃনমূল পাটি। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভোটার প্রায় অর্ধেক। বাংলার তথা ভারতের অন্যতম মুসলিম প্রানকেন্দ্র ফুরফুরা শরীফ, তাদের কেন্দ্রে পার্থী ও সংসদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন।
নির্বাচনী প্রচারে ফুরফুরা শরিফে গত দুইবারের সাংসদ ও লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুরের তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যান ব্যার্নাজীর বিরুদ্ধে ফুরফুরা শরিফ আহলে সুন্নাতুল জামাতের(ফুরফুরা শাখা কমিটি) বিক্ষোভ প্রদর্শন ও কালো পতাকা দেখিয়ে প্রতিবাদের জন্য জমায়েত হন। কিন্তু কল্যান ব্যার্নাজী পূর্ব নির্ধারিত পথ পরিবর্তন করে মুন্ডলিকা চলে যান। উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তিন মিনিটের জন্য পথ অবরোধ করেন এবং ফুরফুরার রেলপথ নিয়ে কেন দশবছরে লোকসভায় প্রশ্নকরেনি তার জবাবদিহি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকে। উক্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে সংগঠনের কর্ণধার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী সাহেব বলেন যে সাম্প্রদায়িকতার ভয় দেখিয়ে এলাকায় ভাঁওতাবাজি করে আর ভোট নেওয়া যাবেনা, তিনি স্বাধীনতার পরবর্তী বাংলার প্রথম গ্রামীণ হাসপাতালে দূরবস্থার কথা তুলে ধরেন এবং বলেন যে হাসপাতালের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই কেনো?এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামী দাদা হুজুরের নামে কেন বিশ্ববিদ্যালয় হলোনা? প্রস্তাবিত আই,টি,আই কলেজ কেনো এলাকার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী জাঙ্গীপাড়ায় স্থানান্তরিত করলেন তার জবাব চাই ?তিনি আরও বলেন আর বিজেপি ও সাম্প্রদায়িকতার ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট লুট করা যাবেনা।এছাড়া তিনি বলেন যে আমাদের ফুরফুরা উন্নয়ন পর্ষদ একটি কাঠের পুতুলে পরিণত হয়েছে,ঐতিহাসিক ইসালে সওয়াবে কেন পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকবেনা।আমরা চাই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। ভারতের অন্যতম তীর্থভূমি ফুরফুরা শরীফ আর এই ফুরফুরা শরীফকে কেন্দ্র করে যে ভাবে কল্যাণ ব্যার্নাজী ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী নোংরা রাজনীতি করছেন তাঁর নিন্দা করেন এবং তিনি বলেন আমাদের দাবি যদি না পূরণ হয়, আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে ফুরফুরা শরিফ আহলে সুন্নাতুল জামাত।
ফুরফুরা শরীফের ধর্মীয় ও সামাজিক সংঠনের বিক্ষোভ প্রদর্শন, ভোটের বাজারে বিশেষ বার্তা বহন করে অবশ্যই!