|
---|
মাসুদুর রহমান,5 ই মার্চ,নতুন গতি: বর্ধমানের কাটোয়ার বছর ছাব্বিশে ছেলে মিসকিন মণ্ডল। পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক । সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত এক্টিভ মিসকিন মাষ্টার। ইতি পূর্বে জন্ম দিনে রক্ত দান, করোনা অতিমারির প্রভাবে বিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বাচ্চাদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং তাদের মধ্যে শিক্ষা সামগ্রী খাতা,পেন ইত্যাদি বিতরণ করতে দেখা গেছে মিসকিন মাষ্টার কে।
কিন্তু এদিন দেখা গেলো এক অন্য চিত্র।
মাস্টার সংবাদ পান যে কাটোয়ার এক গরীব অসহায় বোনের অর্থের অভাবে বিয়ে আটকে আছে। মেয়েটির পিতা গুরুতর অসুস্থ। উনিই পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। সংবাদ পেয়ে মহানুভব মাষ্টার মশাই ছুটে যান মেয়েটির বাড়িতে। দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। মেয়েটির বিবাহে ভোজ বাবদ যত খরচ তার সবটাই মেটান তিনি।
তিনি বলেন,”নিজের রক্তের সম্পর্কের কোনো বোন নেই আমার। বহু দিনের ইচ্ছে ছিল যদি একটা বোন থাকতো।
আমার এক বোন রুপসা খবর দেয় কাটোয়ায় এক বোনের বিয়ে আছে আর্থিক অসুবিধার জন্য সমস্যা হচ্ছে। বোনের কাছে খবর পাওয়ার পর ওই বোনের সাথে যোগাযোগ করি ও বোনের বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিই। আজকে বোনের বিয়ের সুসম্পন্ন হল। সকলেই আশীর্বাদ ও দোয়া করবেন ওরা যেন সুখের সংসার করে।
আমার এই কাজ করার জন্য সব সময় পাশে থেকেছে বোন রুপসা ও চঞ্চল ভাই।আসলে নিজের বোন থাকলেও এভাবেই তো দায়িত্ব পালন করতে হতো। তো তাই কিছু করেছি। বলবেন না, আসলে এটা আমার কর্তব্য ছিল। ভালোবাসায় ভরে উঠুক পৃথিবী।”
তিনি নতুন গতির সাংবাদিককে জানান যে,
“বিবাহটি ছিল পণ মুক্ত।’ পণ ‘ অভিশপ্ত একটা প্রথা। যা আমাদের সমাজকে তিলে তিলে ধ্বংস করছে। পণের জন্য এখনও আমাদের এই সভ্য সমাজে নারীদের নির্যাতিতা হতে হয়।আমরা নিজেদের কোন মুখে সভ্য দাবি করি?”
তিনি আরো বলেন,”বর পক্ষকে অনেক ধন্যবাদ। যারা পণ মুক্ত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে সচেষ্ট হয়েছেন। প্রত্যেক যুবকদের এমনভাবে এগিয়ে আসা উচিত।
মিসকিন মাষ্টারের এই মানবিক ক্রিয়া কলাপ নেটাগরিকদের মন কেড়েছে। তারা মাষ্টার মশাইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।