|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের পরামর্শে মুর্শিদাবাদ জেলা জমিয়তে উলামার উদ্যোগে বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে আমান (শান্তি) ও একতা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। এদিনের সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি হযরত মাওলানা সিদ্দীকুল্লাহ চৌধুরী।
তিন বলেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ স্বাধীনতা আন্দোলন না করলে ভারতবর্ষ এখনও স্বাধীন হতো না, আর নন্দীগ্রাম আন্দোলন না করলে দিদি ক্ষমতায় আসতে পারতেন না। বিশিষ্ট লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী কপালে চুমু দিয়ে বলেছিলেন আপনারা বাংলার জন্য যা করেছেন, আমরা তা করতে পারিনি।
আরও বলেন দেশের শান্তি প্রিয় মানুষদের নিয়ে প্রত্যেক এলাকায় প্রত্যেক গ্ৰামে ‘সদ্ভাবনা মঞ্চ’ তৈরি করা হবে। ১১ জন সদস্যের এই মঞ্চে কমপক্ষে পাঁচজন অমুসলিম সদস্য নেওয়া হবে। এই কমিটি একে অপরের সমন্বয় করে কাজ করবে। মসজিদের দরজা খুলে দিতে হবে। খাবির সেখকে পিটিয়ে খুনের পর জেলা প্রশাসন আজও তার বাড়িতে যায়নি। কেন যাবে না? খাবির সেখের পরিবারকে বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আবেদন করুন। মুখ্যমন্ত্রীর নজরে হয়তো নেই। আমি তার নজরে আনব। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর কলকাতা মহাজাতি সদনে এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে সচেতনতা শিবির করব। পরে কলকাতায় ১০ লক্ষ মানুষ নিয়ে সমাবেশ করা হবে। এছাড়াও এনআরসি সংক্রান্ত বিষয়ে একটি লিগ্যাল সেল ও একটি অ্যাডভাইসরি টিম তৈরি করা হবে।
এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নূরে আলম চৌধুরী, বৌদ্ধ ধর্মগুরু অরুণজ্যোতি ভিক্ষু, সাংসদ আহমাদ হাসান ইমরান, বিশ্বকোষ পরিষদের সম্পাদক শ্রী পার্থ সেনগুপ্ত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুস সালাম, মন্ত্রী জাকির হোসেন, সাংসদ আবু তাহের খান, রাজিব হোসেন, পুরোহিত বিশ্বজিৎ রায়, খ্রিস্টান ধর্মগুরু অভিষেক হালদার, জমিয়তের সিনিয়র নেতা মাওলানা আব্দুস সালাম রহিমী, রাজ্য সম্পাদক মুফতি রফিকুল ইসলাম সাহেব। সম্মেলনে সকল বক্তগণ ধর্মীয় বিভাজন ভুলে শান্তি সম্প্রীতি ও একতার বার্তা দেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা জমিয়তে উলামার সহ সভাপতি মাওলানা বদরুল আলম, সম্পাদক মুফতি রায়হানুল ইসলাম, সহ সম্পাদক মাওলানা নিজামুদ্দীন বিশ্বাস, মুফতি জুবায়ের হোসেন সহ জেলা ও ব্লক স্তরের সকল জমিয়ত উলামার পদাধিকারীগণ।