|
---|
সেক আতিউল্লা, পূর্ব মেদিনীপুর: মানবসভ্যতার বিস্ময়কর বিকাশে বিজ্ঞান যে অনন্য ভূমিকা পালন করছে, তার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হলো মোবাইল ফোন। তথ্য আদান-প্রদানে মোবাইল ফোন যুগান্তকারী বিপ্লব এনেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে গতি আনলেও এর অপব্যবহারের কারণে প্রতিনিয়তই মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে একধরনের ভীতি।
বিশেষ করে মোবাইল ফোনের অপব্যবহার নিয়ে অভিভাবকেরা চরম উৎকণ্ঠায় আছেন। বিভিন্ন মোবাইল ফোন কোম্পানি লাভবান হওয়ার জন্য লোভনীয় সব অফার দেয়। ফলে শিক্ষার্থীরা এসব সুবিধা ভোগ করতে গিয়ে রাত জেগে কথা বলে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি করছে।
আরেকটি চিন্তার বিষয় হলো, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকর। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যুবক শ্রেণি নানাবিধ অশ্লীল ভিডিও দেখে। ফলে ধীরে ধীরে তাদের মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে এবং সমােজ নানা ধরনের অনৈতিক ও গর্হিত কর্মকাণ্ড বাড়ছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
বেশ কয়েক মাস ধরেই এই অনলাইন খেলাটির প্রতি বুঁদ হয়ে আছে যুব সমাজের একটা বড় অংশ। এই খেলার নেশার তীব্রতায় ঘটেছে নানা রকম ঘটনা। বারবারই শোনা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে কেউ কেউ।
সম্প্রতি PUBG-কে ঘিরে নানান ঘটনা সামনে এসেছে। দিন কয়েক আগেই রেললাইনের ওপর দিয়ে গেমটি খেলতে খেলতে যাওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারান দুজন। এমনকী নির্বিঘ্নে PUBG খেলতে পারবেন বলে স্ত্রীকেও ডিভোর্স দিয়েছেন এক ব্যক্তি।
যথাযথ পরিচয়পত্র জমা দিয়ে মোবাইল সিম ক্রয় করাটা যেমন বাধ্যতামূলক, তেমনি অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিত, তাদের সন্তানেরা মোবাইল ফোনগুলো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করছে কি না? বর্তমান সময় ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ফোনের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের জীবন ও জগৎ বর্ণিল হয়ে উঠবে।