অবৈধ বালি মজুদ, অবশেষে নড়েচড়ে বসল বীরভূম জেলা প্রশাসন

নিশির কুমার হাজরা। বীরভূম। বালি মজুত দেখে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশ বলেই ফেললেন, এ তো মরুভূমি হয়ে গেছে দেখছি। দীর্ঘদিন ধরে এমনই চিত্র বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ার মতো। সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় বালির পাহাড় চোখে পড়ে। মোহাম্মদ বাজার ব্লক সংলগ্ন রাস্তার ধারে কয়েক হাজার টন বালি মজুত দেখা যাই। যা সকলের চোখে পড়ার মতো।

    এছাড়াও সেকেড্ডা পঞ্চায়েতে কালিতলা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ও বালি মজুত দেখা যায়। বেআইনিভাবে দিনের পর দিন বালি মজুদ করে এমনই চেহারায় রূপান্তরিত হয়েছে যে সারা বীরভূম জুড়ে দেখলে মরুভূমি ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যাবে না।

    অবশেষে অবৈধ বালি মজুদের ঘটনায় নড়েচড়ে বসে বীরভূম জেলা প্রশাসন। নদী থেকে অবৈধ পদ্ধতিতে বালি মজুদ করা হয়েছে বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায়। সেই মজুত খতিয়ে দেখতে বীরভূম প্রশাসনের আজ চলে বিশেষ অভিযান।

    বৃহস্পতিবার জেলাশাসক মৌমিতা গদারা বসু জেলা পুলিশ সুপার এবং ডি এল আর ও পূরনেনদু মাঝি সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় মজুদ বালি খতিয়ে দেখেন তারা।

    এদিন অবশ্য প্রশাসনিক কর্তাদের অভিযানের খবর পেয়ে আগেই বালি ঘাটের লোকজন সরে পড়েছিলেন। প্রশাসনিক কর্তাদের এই অভিযানে বেশ কয়েকটি জায়গায় বালি মজুত কে অবৈধ বলে চিহ্নিত করা হয় বলে জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।

    এই বেআইনি পদ্ধতিতে বালি মজুতের ঘটনায় আপাতত চার জনকে আটক করা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। আগে খাটিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গদারা বসু জানান, বর্ষার এই মৌসুমে বালি তোলা বন্ধ থাকে নদী গর্ভ থেকে। কিন্তু বালি সট্যাগের ক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সেই বালি সট্যাগ করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এই অভিযান।

    এখানে এসে বেশ কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে নিয়ম না মেনে বালি সট্যাগ করা হয়েছে। সে গূলির ক্ষেত্রে আইন মেনে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

    বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গদারা বসু আরো জানান, এর আগে অনেকবার বৈঠক করে সঠিক পথে চলার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় আমি নিজে এই অভিযানে এসেছি।