|
---|
সেখ আব্দুল আজিম, কলকাতা : সারা বাংলা জেলা ইমাম অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে ওয়াকফ বোর্ডে এক ডেপুটেশনের আয়োজন করা হয়েছিল উক্ত ডেপুটেশন ওয়াকাফের সিও র কাছে ইমামদের পক্ষে গেলে বিভিন্ন রকম ভাবে সিও সাহেব ইমামদের ক্ষেত্রে কুরুচিকর কথাবার্তা বলেন বলা বাহুল্য দীর্ঘ কয়েক মাস এবং বছর যাবত তাদের ভাতা আটকে রাখায় তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ফলে ওই টেবিলের কাচ ভেঙে যায় ছোটখাটো বিষয়। ইমাম রা চাই না কোন কিছু একটা গন্ডগোল হোক। হুমকিসরে সিও সাহেব তাদের বলেন তোমাদের এরেস্ট করব মাথায় টুপি পাঞ্জাবি পরিধান করা ব্যাক্তির ভীড়।এখানে এই ধরনের কথাবার্তা বলায় ইমামরা ক্ষুব্ধ হন কারণ আমরা সারা বাংলা ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের দাবি দাবা নিয়ে ওয়াকফ বোর্ডের ডেপুটেশন দেয়ার আয়োজন করেছিলাম পূর্ব ঘোষিত অনুযায়ী। মূলত আমাদের দাবি ছিল পালা বদলে সরকার আসার পর ইমামদের সাম্মানিক হিসাবে আড়াই হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের জন্য এক হাজার টাকা ঘোষণা দেন 2012 সালে আজকে ২০২২ সালের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে আমাদের দাবি ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং এরিয়ার সহ ইমামদের ভাতা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে চালু করতে হবে অপসারণ করতে হবে। কলকাতা ওয়াকফ বোর্ডের অদূরেই স্টেটসম্যান পত্রিকা অফিসের সামনে এই সভায় পীরজাদা সহিম সিদ্দিকী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করি মুখ্যমন্ত্রী ইমাম ভাতার দিকে নজর দিন ২০১২ সালে আপনি ইমামদের জন্য ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২২ সালে ইমামদের জন্য ১০ হাজার মোয়াজ্জিনদের জন্য ৭ হাজার টাকা করে ভাতা চালু করুন পঞ্চায়েত ভোটের আগেই করতে হবে। সারা বাংলা ডিস্ট্রিক্ট ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক নিজামুদ্দিন বিশ্বাস তিনি বলেন সি.ও সাহেব ইমামদেরকে বারংবার হয়রানি করেন আমরা অবিলম্বে চাই শি.ও সাহেবের অপসারণ। বক্তব্যে হাসানুজ্জামান তিনিও খোভের সাথে বলেন ডিসটিক ইমামরা দায়িত্বের সাথে সমস্ত ইমাম সাহেব যাতে পরিষেবা পায় তার জন্য গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকি মিথ্যা অভিযোগ কেউ কেউ তুলেছে দৃষ্টিক ইমাম রা দায়িত্ব পালন করেন নি। বক্তব্যে আবু আফজাল জিন্না বলেন দীর্ঘ মাস ধরে বহু ইমামকে হায়রানি করছেন সিও সাহেব। সরলীকরণ করা হোক এবং ইমামদের দ্বিতীয় ক্ষেত্রে এরিয়ারসহ ভাতা চালু করতে হবে। স্বামি প্রমানন্দ সাহেব বলেন আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবগত করব ইমাম মুয়াজ্জিনদের ভাতা বৃদ্ধি এবং হয়রানি বন্ধ করে সমস্ত ব্যবস্থা সরলীকরণ করার জন্য সারা রাজ্যের কয়েক হাজার ইমাম এসেছিল তাদের সঙ্গে অসভ্যতা করেছে বলেই ঠেলাঠেলিতে কাচ ভেঙে যায়। আরো অন্যান্য দায়িত্বশীল ইমামগণ বক্তব্য রাখেন কয়েক হাজার ইমামের উপস্থিতিতে সাইম সিদ্দিকীর দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা হয়।