মানিকচক থানার সাহেবদী এলাকায়, পারিবারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূকে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: পারিবারিক বিবাদের জেরে গৃহবধূকে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ি বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা মানিকচক থানার নূরপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুর সাহেবদীএলাকায়। গৃহবধূর নাম মেনোকা মন্ডল বয়স (২৪) অভিযুক্ত স্বামী গোপাল মন্ডল।পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক।পরিবার সূত্রে জানা যায় মানিকচকের নাজিরপুরের বাসিন্দা দীনেশ সরকারের মেয়ে মেনকার সাথে গত দুই বছর আগে সামাজিক মতে বিবাহ হয় মালদা জেলার ইংরেজবাজার থানার নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের জোদ বসন্ত এলাকার জিতেন মন্ডলের ছেলে বাসিন্দা গোপাল মন্ডলের সাথে। তাদের পরিবারে ১১ মাসের এক শিশু কন্যা ও রয়েছে।

    পরিবার সূত্রে জানা যায় বিয়ের পর থেকেই স্বামী গোপাল মন্ডল স্ত্রীর উপর শারীরিক অত্যাচার করত।এই নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সালিশেও বসা হয়েছে অনেক বার।কিন্তু কোন লাভ হয়নি। গতকাল রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলে। এরপর পরিবারের জানান যে তাদের মেয়েকে মারধর করে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর চিকিৎসার জন্য আনা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

    গতকাল রাতে এই নিয়ে আমার মেয়েকে মারধর করে এবং গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দেয় জামাই। ফোন মারফত জানতে পারি মেয়ের এই অবস্থা। তারপর সকালে হাসপাতালে এসে দেখি আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।আমি সন্দেহ করছি আমার মেয়েকে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা।আমি চাই আমার মেয়ের সাথে যে এই অবস্থা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

    চিকিৎসা চলাকালীন গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে মেরেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা। এই নিয়ে আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ করব এবং যারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।অন্যদিকে মেয়ের মা সমিতা মন্ডল জানান দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়েকে সন্দেহ করতো অন্য কারো সাথে সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার মেয়েকে মারধর করতো। আমরা বারংবার জামাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু কোন কাজ হয়নি।