ইসলামিক ধর্মীয় জলসার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

ইলিয়াস মল্লিক,কলকাতা: আজ কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক নদীয়া জেলার তেহট্ট মহকুমা হুগোলবাড়িয়া থানা অন্তর্গত বশিরা দক্ষিণপাড়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় একটি ইসলামিক জলসা অনুমতি দিলেন, আগামী 12 ই মার্চ মঙ্গলবার রাত দশটা অবধি ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে আলোচনা ও সংখ্যালঘু মানুষদের উন্নয়ন মূলক আলোচনা সভা আয়োজন করেছিল এলাকাবাসী। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জালসার অনুমতি দেওয়া নিয়ে অসুবিধা দেখা দিচ্ছিল তাই জালসা কমিটির পক্ষে মোহাম্মদ আমজাদ খান কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী মাসুদ করিম, আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম, আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ, আইনজীবী রঞ্জনা তলাপাত্র, আইনজীবী সৈয়দ মুর্শিদ আলম আইনজীবি সিরাজুল হক ও সত্যসুন্দর মন্ডল তথা এম.কে এসোসিয়েট এর সহযোগিতায়।যদিও জলসার অনুমতি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দমকল দপ্তর দিয়েছিল মামলা দায়েরের আগে। স্থানীয় কিছু মানুষ ও হুগোলবাড়িয়া থানা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক নানারকম অজুহাতে জালসার অনুমতি দেয়নি। চারিদিকে সংখ্যালঘু বেষ্টিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও সংখ্যালঘুদের বিষয়ক বা ধর্মীয় বিষয়ে একটি আলোচনা সভায় কোন ধরনের অসুবিধা হওয়ার কথা নয় এই মর্মে আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ সহ অন্যান্য আইনজীবিদের দীর্ঘক্ষন শুনানি চলার পর জজ সাহেব সন্তুষ্টহয়ে’ জালসার অনুমতি দেন। মামলা দায়েরকারী কমিটির পক্ষে


    আব্দুল মজিদ খান সাহেব বলেন আমরা সমাজের স্বার্থে একটি আনুষ্ঠানিকভাবে লোকালয় থেকে দূরে একটি মাঠে জলসা টি দুপুর দুটো থেকে দশটা পর্যন্ত করার ব্যবস্থা করেছিলাম যাতে কোনো মানুষের অসুবিধা না হয় তাই সব রকম ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়েছিলাম তবুও জানি না অজানা কারণে প্রশাসন সহযোগিতা পায়নি তাই আমরা আইনজীবিদের সাহায্য নিয়ে ন্যায্য বিচারের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ছিলাম। গ্রামবাসীর হয়ে আমি আইনজীবী বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই এই মর্মে বিচার প্রক্রিয়া শেষের পরে,

    আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম জানান – “ভারত বর্ষ একটি গণতন্ত্র দেশ ,ধর্মনিরপেক্ষ দেশ তাই কোন ধর্ম তার ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা সভায় করবে তাতে প্রশাসনের অসুবিধা না হওয়ার কথাএবং কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি ও এই মর্মে জলসার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা আগামী দিনে দেশ সহ রাজ্যবাসীর জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সভা সমিতির অসুবিধা হলে আমরা নিশ্চয়ই জাতির সাথে এগিয়ে আসবো”।আইনজীবী সৈয়দ মুর্শিদ আলম বলেন আমরা বিগত দিনে এই ধরনের মামলা করে সাধারণ মানুষকে সভা করতে সহযোগিতা করেছি। আইনজীবী মাসুদ করিম সাহেব বলেন অসহায় কে সুষ্ঠু বিচার পাইয়ে দেওয়া এম.কে অ্যাসোসিয়েট এর দায়িত্ব ও কর্তব্য।আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ ও রঞ্জনা তলাপাত্র বক্তব্য ছিল আইনজীবী হিসাবে সমাজের সত্য তুলে ধরে বিচার বিভাগকে জানানো আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য এবং মানুষ যাতে নিজের ধর্ম এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সঠিকভাবে পালন করে । আজকের রায় আমাদের একটি ছোট্ট প্রয়াস।সবার শেষে আজকের রায় শুধু নদীয়ার তেহটটো নয় সারা পশ্চিমবাংলার সংখ্যালঘু মানুষদের মধ্যে একটি আনন্দের বাত্রা পৌঁছানো হয়।