বাজারে আম প্রায় নেই বললেই চলে আর যেটুকু আছে তার আগুন দাম

নিজস্ব সংবাদদাতা : চাহিদার তুলনায় ফলন কম হলে দাম বাড়বে, অর্থনীতির এই তত্ত্ব আমাদের সবার জানা ৷ এমনই পরিস্থিতি হুগলির আম চাষে অন্যান্যবারের তুলনায় অনেকটাই কমেছে এবারের ফলন ৷ বাজারে আম প্রায় নেই বললেই চলে । আর যেটুকু আছে তার আগুন দাম ৷ যার ফলে আমের পাইকারি বাজারে প্রভাব পড়েছে ।পোলবার গোটু বাজারে প্রতি বছর আমের বড় বাজার থাকে । চাষি ও বাগান ব্যবসায়ীরা অনেক টাকা দিয়ে গাছ ইজারা নিয়ে আম উৎপাদন করেন । কিন্তু এ বছর হুগলির পোলবা, রাজহাট, সিঙ্গুর ও বলাগড়-সহ একাধিক জায়গার বাগানগুলিতে আমের ফলন খুবই কম । সেই কারণেই বাজারে আম আসছে না । সুগন্ধা পঞ্চায়েতের গোটু বাজার থেকে বিহার ও দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে আম যায় । মূলত হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়া, মল্লিকা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের আম আসে এই বাজারে । আম ফলানো থেকে শুরু করে তা বাজারজাত করা পর্যন্ত এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকে কয়েকশো শ্রমিক ৷বাজার পড়ে যাওয়ায় অনেক আড়ৎ বন্ধ করে দিয়েছে ব্যবসাদাররা । যেখানে 45 দিন আমের ব্যবসা চলে সেখানে এবারে 19 দিনের মতো ব্যবসা চলছে । বাজারে কিছু অল্প আম থাকলেও তা এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে । এ বছর হিমসাগর পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি দাম 100 টাকা, ল্যাংড়া 70 টাকা । গতবারের তুলনায় তিনগুণ দাম বেড়েছে । পোলবা দিল্লি রোডের পাশে খুচরো আম বিক্রেতা বলছেন, “দাম বেশি থাকায় খদ্দের আসছে না ৷”আড়ৎদার তাপস পালের কথায়, “প্রতিবছর 20 গাড়ি করে আম বাইরে পাঠাই । এ বছর ব্যবসা হল না । দাম ও বেশি ছিল বাজারে । আম উৎপাদন কম হওয়ায় ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে । পাইকারি বাজারে দাম বেশি থাকায় খুচরা বাজারে অনেক বেশি রয়েছে । আমার কাছেই 75 জন কাজ করে । সেখানে এবছর মাত্র 20 জন কাজ করেছে ৷”আম ব্যবসায়ী কানাই সাঁতরা বলেন, “পৌষ মাসে গাছে জল লেগে যাওয়ার জন্য আমের বকুল হয়নি । গরমের জন্য আমের ফলন কম হয়েছে । পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ায় গাড়ি ভাড়া বেড়েছে ৷ বাগান মালিকদের আগে টাকা জমা দিয়ে গাছ লিজ নিতে হয় । আম ব্যবসায়ীরা টাকা খরচ করেও আম পায়নি । সব দিক থেকেই ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায় । আমের উপর যারা নির্ভরশীল তারা কাজ পায়নি এ বছরে ।”