|
---|
রবিউল ইসলাম,সাগরদিঘি : সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ চালু হয়েছে। ফলে বিভিন্ন পদ থেকে অব্যাহত অনেক নেতা, মন্ত্রী – সাংসদও। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একাধিক দলীয় সাংগঠনিক কমিটিতে রদবদল হয়েছে। মূলত দলকে সাংগঠনিক চাঙ্গা করতে তৎপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মিশনে কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করার জন্য মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যান্য জেলার মতো মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসকে দুটি সাংগঠনিক জেলাতে বিভক্ত করা হয়েছে, একটি বহরমপুর – মুর্শিদাবাদ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা এবং অন্যটি জঙ্গিপুর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা। বহরমপুর – মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বভার পেয়েছেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়িকা শাওনি সিংহ রায়। অপরদিকে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকে। পাশাপাশি এই জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব দেওয়া হয় নবগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডলকে। রবিবার মন্ত্রী সুব্রত সাহার নির্দেশে সদ্য নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মন্ডলকে ফুলের তোড়া ও মিষ্টিমুখ করে শুভেচ্ছা জানাই সাগরদিঘি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন সাগরদিঘি ব্লক যুব সভাপতি কিসমত আলি, ব্লকের এগারোটি অঞ্চলের দলীয় অঞ্চল সভাপতি, প্রধান- উপ প্রধান, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও অন্যান্যরা।
নবগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তথা জঙ্গিপুর তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মন্ডল বলেন,আগামীতে আমাদের একটাই লক্ষ্য- ২০২৪ কে পাখির চোখ করে দিল্লির মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আসীন করার জন্য আমাদের সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই মিশনকে সম্পূর্ণভাবে সফল করার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।এছাড়াও তিনি তৃণমূল স্তরের সমস্ত কর্মীদের নিয়ে দলকে চাঙ্গা করার বার্তা দেন। পাশাপাশি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁকে গুরুদায়িত্ব দেওয়ার জন্য।