|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর: করোনা পরিস্থিতির মাঝেই দেবীপক্ষে সমাজ মাধ্যমে রিলিজ হলো কাব্যনাট্য “জাগো দুর্গা”। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী দুর্গাপুজা হলো নারীশক্তির আরাধনা।আদি ভারতবর্ষে প্রাচীন সমাজ ছিল মাতৃতান্ত্রিক ।তখন থেকেই দেবীপুজোর প্রচলন বলে মনে করা হয়।প্রতি বছর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে শুনতে পাওয়া যায় নারীশক্তির মাহাত্ম্যের কথা।কিন্তু বর্তমানে বাস্তব সমাজ জীবনের বহু ক্ষেত্রেই ঠিক উল্টো চিত্র দেখা যায়।যুগ যুগ ধরে নারীরা অসাম্যের শিকার হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন ভাবে। এ ক্ষেত্রে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী যেমন দায়ী তেমনি অনেক ক্ষেত্রে বহু নারী অন্য নারীর দুর্গতির কারণ হয়ে দাঁড়ান। একদিকে নারী কে দেবী রূপে পূজা করা হবে। আর অন্যদিকে নারীরা ধর্ষিতা হবে, অ্যাসিড আক্রান্ত হবে,মাতৃজঠরে কন্যাভ্রুন হত্যা হবে,এই বৈষম্য চলতে পারেনা।এ কোন নারীশক্তির আরাধনা? নারীশক্তির আরাধনাকে শুধু মাটীর প্রতিমাতে সীমাবদ্ধ না রেখে এ পুজো হোক প্রকৃত নারীশক্তি জাগরণের।এরকমই একটি ভাবনার প্রতিফলন ঘটে কবি নিসর্গ নির্যাসের একটি প্রতিবেদনে।এই প্রতিবেদনে ভাবনা আর নিজস্ব ভাবনার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে শিক্ষিকা মিতালী ত্রিপাঠী,এই করোনা আবহের মাঝেই মোবাইল ফোনের সাহায্যে দুই কন্যা অদ্রিজা ও আদৃতাকে এবং স্বামী পুলকেশ ত্রিপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে তৈরী করে ফেলেছেন কাব্যনাট্য “জাগো দুর্গা”। অন্যদের সাহায্য নিয়ে মিতালি ত্রিপাঠী,এই কাব্যনাট্যে সুচারু ভাবে সমাজের একটি অন্ধকার দিক তুলে ধরেছেন।তাঁর চাওয়া, এ পুজো হোক একদিকে যেমন প্রকৃত নারীশক্তি জাগরণের ,তেমনি এপুজো হোক নারী পুরুষ সমন্বয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে। এই কাব্যনাট্যে ভাষ্যপাঠ করেছেন মিতালি ত্রিপাঠী। সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন অদ্রিজা ত্রিপাঠী ও আদৃতা ত্রিপাঠী। চন্ডীপাঠ করেছেন পুলকেশ ত্রিপাঠী। মূল রচনা ও ভাবনা নিসর্গ নির্যাসের। ছবি, ভিডিও গ্রাফী,এডিটিং সহ বিভিন্নভাবে এই কাজে সহযোগিতা করেছেন রিমা কর্মকার, নিসর্গ, প্রিয়ম, দিব্যা, অদ্রিজা, আদৃতা।এই কাব্যনাট্যটি ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় ও ইউ টিউব চ্যানেলে আপলোড হয়েছে।