নাবার্ডের জল জীবন হ্যায় কর্মসূচির উপভোক্তাদের নিয়ে জেলা স্তরীয় কর্মশালা বীরভূমের সিউড়িতে

সেখ রিয়াজউদ্দিন, বীরভূম: ২৭ শে জুন বীরভূম জেলার সিউড়িতে নাবার্ডের ব্যবস্থাপনায় “জল জীবন হ্যায়” কর্মসূচির উপভোক্তাদের নিয়ে জেলা স্তরীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় হোটেল সাগর এর সভাকক্ষে। এদিন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী,নাবার্ডের জেলা অধিকর্তা তথা ডি,ডি,এম, সুমত্য ঘোষ সহ জেলার বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকগন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ২০১৭ সালে নাবার্ডের উদ্যোগে “জল জীবন হ্যায়” নামে এক কর্মসূচিতে দেশে ১২০ টি জেলায় যার মধ্যে বীরভূম জেলায় ৫৩০ টি গ্রামে গ্রাম্য ভিত্তিক তথা তৃণমূলস্তরে সমীক্ষা করা হয় জল সমস্যা বিষয়ক । জল সঞ্চয় কোথায়, কিভাবে করা যেতে পারে ইত্যাদি প্রশ্নে করে উত্তর নেওয়া তথা গ্রাম বাসিদের মতামত ও হাতেনাতে স্কেচ ম্যাপ করিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। সেইটার ফলস্বরূপ ১২০ টি জেলা চিহ্নিত হয়েছে যেখানে সুসংহত জলবিভাজিকা স্কীমের মাধ্যমে পরীক্ষা মূলক হিসেবে কাজ করছে রাজনগর ব্লকের তাতিপাড়া পঞ্চায়েতের নারায়নপুর,লাটুলতলা,ঝিকড়া,মানিক ডিহি ও গুলালগাছি গ্রামে। আজকের কর্মশালায় উক্ত পাঁচ গ্রামের প্রতিনিধি, সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী সহ জেলা স্তরীয় বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকগনদের সাথে যৌথ ভাবে কিছু কিছু কর্মসূচি নেওয়ার জন্য এই আলোচনা। শুধু জল সংরক্ষণ নয় তার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতায় ও গ্রামগুলিতে একটা আলাদা ভাবে সার্বিক উন্নতি ঘটানো যায় তার জন্য মূলত আজকের আয়োজন বলে একান্ত সাক্ষাৎকারে কতগুলো জানান নাবার্ডের জেলা অধিকর্তা সুমত্য বাবু। সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী সহ উপস্থিত সকল আধিকারিক গন আশ্বাস দেন উন্নয়নের জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত। উল্লেখ্য উক্ত গ্রাম গুলোকে মাথায় রেখে উপস্থিত আধিকারিক গন আবার একত্রে বসে গ্রাম উন্নয়ন পরিকল্পনা করার ও প্রয়াস নেওয়া হয়। গ্রাম প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত সেখ সেলিম,বাবলু মন্ডল,মলিন্দ হেমরম, বাবুলাল সরেনরা ও জানান আজকের আলোচনায় আমরা উৎসাহিত বোধ করছি এবং গ্রাম সাজাতে ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ।