|
---|
আজিজুর রহমান, পূর্ব বর্ধমান : গণ সুন্নত এ খাতনা শিবির এর আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো জামালপুর নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য অবশ্যকরণীয় কাজ হলো ‘সুন্নত এ খাতনা’ যাকে সাধারণ ভাষায় ‘মুসলমানি’ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এই মুসলমানি যে একদম আধুনিক ভাবে সুসজ্জিত অপারেশন থিয়েটারে করানো যায় সে বিষয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো জামালপুরের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে এর আগে অবশ্য কম্বল বিতরণ, বস্ত্রদান সহ বিভিন্ন কাজে দেখা গেছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। তাদের উদ্দ্যোগে করোনার সময় প্রচুর মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছেন। এবার তারা এগিয়ে এলেন গণ সুন্নত এ খাতনার কাজে। এদিন এলাকার কারলাঘাটের একটি বেসরকারী নার্সিং হোম ৪৪ জন বাচ্চার সুন্নত এ খাতনার ব্যবস্থা করেন। সংস্থার পক্ষ থেকে পুরো অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন সংস্থার সভাপতি মেহেমুদ খান ও কোষাধ্যক্ষ ভুতনাথ মালিক। এদের পাশাপাশি ওই কাজে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি, এস ডি পি ও আমিনুল ইসলাম খান, জামালপুর ব্লক বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার, জামালপুরে থানার ওসি মিঠুন কুমার ঘোষ, ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: ঋত্বিক ঘোষ। সংস্থার সভাপতি মেহেমুদ খান জানান সম্পর্কে তাঁর এক নাতির মুসলমানি করানোর কথা হতেই তাঁর মাথায় আসে ওই কাজের কথা। এবং সেই অনুযায়ী তিনি ওই কাজ করার কথা চিন্তা করেন। পাশাপাশি সংস্থার সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন গ্রামীন চিকিৎসকদের সংগঠন। এবং তাঁরা ওই শিবিরে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ওষুধ বিনামূল্যে দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার সাথে সাথে অনিমেষ সেনগুপ্ত বাচ্চাদের রক্তের বিভিন্ন টেস্ট বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করেন। মেহেমুদ খানের প্রস্তাবে বিশিষ্ট ডাক্তার বাবু ডা: কামাল হাসান ও ডা: আনারুল হক সানন্দে রাজি হয়ে যান এবং তাঁকে ওই কাজ করার জন্য উৎসাহ দেন। ওই কাজে প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের পাশে থাকায় তিনি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন লাইফ কেয়ার নার্সিং হোমের মালিক মোহাম্মদ আজিজ তাঁর নার্সিংহোম বিনামূল্যে এই শিবিরের জন্য অনুমতি দিয়েছেন তাদের অনেক বেশি সাহায্য করেছেন। বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন, এটা একদম নতুন একটা ভালো কাজ। যেখানে হিন্দু মুসলিম মিলিত হয়ে এই ধরণের একটি শিবির করেছেন। ওই কাজের জন্য তিনি নাগরিক জন কল্যাণ সোসাইটিকে ধন্যবাদ জানান। জামালপুর বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার বলেন, নাগরিক জনকল্যাণ সোসাইটি এর আগে নানা ধরণের সামাজিক কাজ করে এসেছেন আজ তাঁরা নতুনত্ব একটা জিনিস করলেন যা খুবই যুগোপযুগি বলে তিনি মনে করেন। এদিনে ওই ক্যাম্পে আগত প্রত্যেক বাচ্চাকে নতুন পোশাক ও টিফিনের প্যাকেট দেওয়া হয়। এলাকায় এমন কাজে খুশি হয়েছেন বহু মানুষ।