কেশপুরে জামসেদ আলীর স্মরণ সভা হলো দীর্ঘ দশ বছর পর

নতুন গতি ওয়েব ডেস্কঃসোমবার কেশপুরে শহিদ জামসেদ আলি ভবনে কমরেড জামসেদ আলি সহ ৬৮ জন শহিদদের স্মরণে শহীদ দিবস পালন করা হলো। পতাকা উত্তোলন করেন ও পার্টির ইতিহাস নিয়ে বক্তব্য রাখেন পার্টির জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, তাপস সিনহা, মানিক সেনগুপ্ত, রামেশ্বর দোলই। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কমরেড আহমেদ আলি।

    ১৯৮৩ সালের আজকের দিনে কেশপুরের জোতদার জমিদারদের মদত পুষ্ট বাহিনী জমির আন্দোলন স্তব্ধ করতে ৩৩ বছর বয়সের লড়াকু কৃষক নেতা কমরেড জামসেদ আলি কে খুন করে। সেই শহীদের নামেই খুনের স্থলে কেশপুরে গড়ে ওঠে শহিদ জামসেদ আলি ভবন। সেই সময় থেকেই শহিদ সমাবেশ সহ তার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার শপথ গ্রহনের সমাবেশ হয়ে আসছে।

    পার্টির জেলা সম্পাদক তরুন রায় বলেন, আমরা বহু কমরেডের আত্মত্যাগে কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তুলেছি। গরীব খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে তাদের দেখানো পথেই নির্দিষ্ট লক্ষ নিয়েই আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। তিনি বলেন খুন, মিথ্যা মামলা, সন্ত্রাস করে হিটলারের পরিনতি কি হয়েছিল তার ইতিহাস সবাই জানেন। এই কঠিন মহামারিকে হাতিয়ার করে আমফানের বরাদ্দ, পরিযায়ীদের রেশন কূপনও লুঠ করছে। একশ দিনের কাজ, ঘর নির্মান সবেতেই লুঠ। ব্লকের একটার পর একটা গ্রামীন রাস্তায় আজ মানুষ সাইকেল নিয়েও বের হতে পারেন না। লুঠের উন্নয়ন চলছে শাষক দলের। তিনি বলেন ইতিমধ্যে কেশপুরে বহু পার্টির কার্য্যালয় চালু করেছেন পার্টি দরদী সহ কমরেডরা। এবার বুথে বুথে লাল ঝান্ডা নিয়েই মানুষের দাবী, তাদের উচ্ছেদ হওয়া জমি ফেরতের লড়াই সংগঠিত হবে। আমরা প্রশাসন কে আগাম জানিয়েছি। গরীব মানুষের দখলকৃত জমি ফেরতের ব্যাবস্থা করুন। কাজ হারানোদের কাজ দিন। আর গনতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করুন। মানুষকে নিয়েই মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই আরো তীব্র হবে। সেই লড়াই চলবে ক্ষেত খামারে।