|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: লোকসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আজই প্রতীক পেয়েছে ওয়েলফেয়ার পার্টি। প্রতীক নিয়েই ময়দানে ভোট প্রচারে গিয়েই ঝড় তুললেন ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার জঙ্গিপুর লোকসভার প্রার্থী ড. এস কিউ আর ইলিয়াস। নতুন জঙ্গিপুর গড়ার ডাক দিয়ে ইলিয়াসের প্রচারে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গেল খড়গ্রামে। সোমবার খড়গ্রাম ব্লকে এক পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করে পার্টির প্রার্থী জঙ্গিপুরের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নতুন জঙ্গিপুর গড়ার ডাক দিয়ে জয়ের ব্যাপারে আত্মপ্রত্যয় ব্যক্ত করলেন তিনি। এদিন মিছিলে পা মেলান ওয়েলফেয়ার পার্টির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি ডাঃ রইসুদ্দিন, রাজ্য সম্পাদক সারওয়ার হাসান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত জঙ্গিপুর লোকসভায় এবারে কংগ্রেস সিপিএম ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ে নেমেছে ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া। বিসিস্ট বুদ্ধিজীবী, বাবরি মসজিদ এক্সন কমিটির যুগ্ম কনভেনর, অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কার্যকরী কমিটির সদস্য, উর্দু আফকারে মিল্লি পত্রিকার সম্পাদক তথা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি ড. এস কিউ আর ইলিয়াসকে প্রার্থী করেছে পার্টি।
প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই জঙ্গিপুর জুড়ে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে পার্টির কর্মীরা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে দেওয়াল লিখন, পোস্টারিং জনসভা করে সকলের নজর করেছে ওয়েলফেয়ার পার্টি। সোমবার জঙ্গিপুর লোকসভার অন্তর্গত খড়গ্রাম বিধানসভায় মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। মিছিল শেষে বক্তব্যে পার্টির প্রার্থী ড. এস কিউ আর ইলিয়াস বলেন, জঙ্গিপুরের মানুষ বেশিরভাগ রাজমিস্ত্রি, বিড়ি শ্রমিক। শিল্প না থাকায় রুটি রুজির টানে এলাকার মানুষকে বাইরে মজুরের কাজ করতে হয়। জেলায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেনি। গঙ্গা ভাঙনে কার্যকরী ব্যবস্থা নেই। উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত জেলার মানুষ। বিড়ি শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন বাম ও কংগ্রেস শাসন করলেও এলাকার মানুষের উন্নয়নে কোনো সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেনি। তাই এবার বাম কংগ্রেস, তৃণমূল কে হারিয়ে নতুন ভাবনায় নতুন জঙ্গিপুর গড়ার অঙ্গীকারে ওয়েলফেয়ার কে বাছতে চাইছে জঙ্গিপুরের মানুষ।
এদিন পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচনী ইস্তেহারও প্রকাশ করা হয়। ইশতেহার প্রকাশ করেন ওয়েলফেয়ার পার্টির রাজ্য সভাপতি মনসা সেন। ইশতেহারে গংগা ভাঙন প্রতিরোধ, বিড়ির মজুরী বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্বনির্ভরতার পরিশ্রুতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও ব্লকে ব্লকে গার্লস কলেজ নির্মাণের দাবি জানানো হয়।।