|
---|
ধুপগুড়ি: একাধিক নেপাল সুপারির খোলানে অভিযান কেন্দ্রীয় সরকারের সিজিএসটি এবং সেল ট্যাক্সের আধিকারিকদের। অভিযান শেষে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের আমোদ প্রমোদের ব্যবস্থা সুপারী ব্যবসায়ীদের। চলছিল জম্পেশ ভুড়িভোজন। সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাংবাদিকরা। আর এতেই খড়গ হস্ত সুপারির কারবারীরা। তদন্তকারী আধিকারিকদের সামনেই হেনস্থার শিকার হয় সাংবাদিকরা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ধূপগুড়িতে।
ধুপগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ পাড়া, কলেজপাড়া, ঘোষপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সুপারির অবৈধ কারবার চলছে। অভিযোগ চোরাপথে নেপাল থেকে সুপারি চলে আসছে ধুপগুড়িতে।
ধুপগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ পাড়া, কলেজপাড়া, ঘোষপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সুপারির অবৈধ কারবার চলছে। অভিযোগ চোরাপথে নেপাল থেকে সুপারি চলে আসছে ধুপগুড়িতে।
এই সুপারি গুলো বেআইনীভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অভিযোগ সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়েই চলছে সুপারির বেআইনি কারবার। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল থেকে রাতভর ধূপগুড়ি পৌর এলাকার একাধিক সুপারির খোলান এবং সুপারি ব্যাবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সরকারের সিজিএসটি এবং সেল ট্যাক্সের আধিকারিকরা। ৮ টি গাড়ি নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তারা তল্লাশি চালান। এমনকি নেপালের সুপারি ও লোকাল সুপারি ব্যবসায়ীদের সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধূপগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ পাড়া, ১০ নম্বর ওয়ার্ড পৌর অফিস পাড়া , ১ নম্বর ওয়ার্ড, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় এই ধরণের অভিযান চালান আধিকারিকরা। যদিও কোন অভিযানে কি পাওয়া গেল বা কি ধরণের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি কেউই।
এদিকে বিশ্বস্ত সূত্রে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা জানতে পারে, যে যে আধিকারিকরা অভিযানে এসেছেন তাদের জন্য ভালোরকম খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবেই নেপাল সুপারি ব্যাবসায়ী বলে পরিচিত সুপারি ব্যাবসায়ীর সেই খোলানে অভিযান চালাতে আসা আধিকারিক দের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে শুনে সন্দেহ তৈরী হয়। এরপর সংবাদকর্মীরা ছুটে যান সেই খবরের সত্যতা যাচাই করতে। কিন্তু সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে বাধা দেন খোলান মালিকের কর্মীরা। এমনকি সাংবাদিকরা ছবি তুলতে শুরু করলে রীতিমতো তাদেরকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি অভিযান চালাতে আসা সিজিএসটি এবং সেল ট্যাক্সের দপ্তরের আধিকারিকদের সামনেই সাংবাদিকদের শারীরিক হেনস্থা করা হয়।
যদিও এই বিষয়ে তদন্তকারী আধিকারিকদের প্রশ্ন করা হলে তারা কোন কিছু বলতে চাননি। মুখ বুজে সেখান থেকে বেড়িয়ে যান আর এই নিয়েই তৈরী হয়েছে সন্দেহ। কেন সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কোন কিছু জানালেন না আধিকারিকরা? কেন তাদের সামনে সাংবাদিকদের আক্রান্ত হতে হলো? কেন চুপ থাকলেন তারা? গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন আধিকারিকরা।