|
---|
নতুন গতি নিউজডেস্ক: শতশত শিশুর মৃত্যুর আর্তনাদ কেউ শোনেনি সেদিন কেউ শোনেনি একজন নিরীহ ডাক্তার যে কত শিশুর প্রাণ বাঁচালো তাকেই অপরাধী বানানো চক্রান্ত ।সেদিন ডাক্তার কাফিল খান বারবার চিৎকার করে বলেছিলেন কিন্তু কেউ শোনেনি সরকার-প্রশাসন । বিনা দোষে তাকে জেল খাটতে হয় মাসের-পর-মাস কিন্তু আবারো সামনে এসে যায় যোগী সরকার এর নগ্ন রূপ প্রমাণিত হয় মিথ্যে চক্রান্ত ডঃ কাফিল এর বিরুদ্ধে তিনি আজ হত্যার মামলা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত কোর্টের রায় তিনি খুশি এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন দেশের আইন ব্যবস্থা কে।
https://twitter.com/drkafeelkhan/status/1177441249889927168?s=09
গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর দু’বছর পর ক্লিনচিট পেলেন অভিযুক্ত ডা. কাফিল খান। বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্বে থাকা স্ট্যাম্প ও রেজিস্ট্রেশন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিমাংশু কুমার ১৫ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, কাফিলের বিরুদ্ধে ওঠা চারটি অভিযোগের একটিও প্রমাণিত হয়নি। বরং ওই বিপর্যয়ের সময় সবথেকে বেশি অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা
করেছেন তিনি। দুর্নীতি, কাজে ফাঁকি, প্রাইভেট প্র্যাকটিস ও চিকিৎসায় গাফিলতি নিয়ে ওঠা অভিযোগগুলির কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমনকী ওই বিপর্যয়ের সময় বাইরে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে আসার আগে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কেউ কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
ওই তদন্ত রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, শিশুমৃত্যুর ঘটনার অনেক আগেই ২০১৬ সালে প্রাইভেট প্র্যাকটিসও বন্ধ করে দিয়েছিলেন কাফিল খান। সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকার সময় প্র্যাকটিসও করেননি। এমনকী যে এনসেফালাইটিস বিভাগে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল। তার দায়িত্বেও তিনি ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁর দিকে অযথা আঙুল তোলা হচ্ছে।
শুক্রবার এই প্রসঙ্গে কাফিল খান বলেন, ‘আজ আমি খুব খুশি। দু’বছর বাদে আমার পুরো পরিবারের জন্য সত্যি এটা খুব ভাল খবর। ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ৯০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্ত, তা প্রকাশ পেতে দু’বছর লেগে গেল। এর জন্য এতদিন ধরে আমাকে খুনির তকমা নিয়ে চলতে হত। আশাকরি এবার সেটা মুছে যাবে। তবে যতক্ষণ না এই ঘটনার পিছনে থাকা অপরাধীরা শাস্তি না পাচ্ছে, ততদিন শান্তি পাব না।’
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে গোরক্ষপুর বিআরডি হাসপাতালে একদিনে মারা গিয়েছিল ৬০ জনের বেশি শিশু। অক্সিজেনের অভাবে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানাজানি হতেই শোরগোল ওঠে দেশজুড়ে। ক্ষমতায় আসার চার মাসের মাথায় এই ঘটনা ঘটায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাফিল খানকে। কিছুদিন বাদে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ন’মাসের জন্য জেল হেফাজতেও পাঠায় প্রশাসন।
যদিও অগাস্টের ১০ তারিখ থেকে ওই হাসপাতালে ৫৪ ঘণ্টা যে অস্কিজেন ছিল না তখন নিজের টাকা খরচ করে সিলিন্ডার নিয়ে এনেছিলেন কাফিল। যার জন্য সারা দেশের মানুষ তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছিল। কিন্তু, কয়েকদিন পরেই ওই ঘটনায় তাঁর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। নায়ক থেকে খলনায়ক বানিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেন কাফিল খান।