কালনার জনসভা থেকে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়ার ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

লুতুব আলি, নতুন গতি, ৫ জুলাই : কালনার জনসভা থেকে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়ার ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৮ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের দশম ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। ৫ জুলাই এই উদ্দেশ্যে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বৈদ্যপুর এ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী জনসভা করলেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার পর দল জয়লাভ করে যে পঞ্চায়েত গঠন করবে তা স্বচ্ছ পঞ্চায়েত হিসেবে পরিগণিত হবে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান। তিনি বলেন পঞ্চায়েতে কোনরকম মাতব্বরি বরদাস্ত করা হবে না। প্রতি দুমাস অন্তর পঞ্চায়েত পরিচালনা নিয়ে সমীক্ষা করা হবে। কারো বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে এবং তা প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে সরিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি জানান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথায় : মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের জীবনকে বিপন্ন করেও পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। নেত্রী জনসেবা মূলক প্রকল্প গুলি চালু করে জাতীয় স্তরে নজর কেড়েছেন। বিরোধীরা লাগাতার কুৎসা অপপ্রচার চালিয়ে ও অনেক প্রকল্প জাতীয় স্তরে প্রথম স্থান পাচ্ছে। লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে বিজেপি ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ করেছিল। পূর্ব বর্ধমানে ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরিষেবা পেয়েছেন। বিজেপি শাসিত বারটি রাজ্যের একটিওতে কোথাও এক হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার করে দেখাতে পেরেছে ? পঞ্চায়ে ত নির্বাচন সম্পন্ন হলে রাজ্য থেকে হাজার হাজার মানুষকে দিল্লি যাওয়ার ডাক দিলেন। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা, আবাস যোজনার টাকা না দেওয়ায় এই প্রকল্প গুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে। ১০০ দিনের কাজ করেও বাংলার মানুষ টাকা না পাওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চরম হুঁশিয়ারি দেন। এদিনের জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ দাস, স্বপন দেবনাথ, সাংসদ সুনীল মন্ডল, দুই বিধায়ক খোকন দাস ও মধুসূদন ভট্টাচার্য প্রমুখ।