|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :কল্য়াণী এইমসে নিয়োগে ‘দুর্নীতি’। ‘কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তে কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে’, হাইকোর্টে অস্বস্তিতে সিআইডি। বুধবার ফের মামলার শুনানি।ঘটনাটি ঠিক কী? নিয়মের কোনও বালাই নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কল্য়াণী এইসমে ঢালাও চাকরি! চাকরি পেয়েছেন বিজেপি নেতা ও বিধায়কদের আত্মীয় পরিজন ও ঘনিষ্ঠেরা। সেই তালিকায় রয়েছেন চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষের পুত্রবধূ অনুসূয়া ও বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রীশেখর দানার মেয়ে মৈত্রেয়ীও। কীভাবে এই দুর্নীতি? স্বজনপোষণ? অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কল্যাণী থানায়। তদন্তে নেমেছে সিআইডি। স্রেফ মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ নয়, কল্য়াণী এইমসে নিয়োগে ‘দুর্নীতি’ মামলায় বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রীশেখর দানাকেও তলব করেন তদন্তকারীরা। কেন? অভিযোগ, নিজের প্রভাব ঘাটিয়ে কল্যাণী এইমসে অস্থায়ী পদে মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। চাকদহে বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষের বাড়িতেও গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁর পুত্রবধূকে। এদিকে সিআইডি বিরুদ্ধে আবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। মামলাকারী সুজিত চক্রবর্তীর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি দমন আইনে তদন্ত বা পদক্ষেপ করতে হয়, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সেই নিয়ম না মেনে কল্য়াণী এইমসে নিয়োগে ‘দুর্নীতি’র তদন্ত করছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের নির্দেশ, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমম আইনে পদক্ষেপ করতে কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে। কেন্দ্রের অনুমতি নিতে হবে সিআইডি-কে”।এর আগে, যে বাঁকুড়া বিধায়ক নীলাদ্রীশেখর দানার মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা, সেদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সিআইডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারে’র অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার নিয়োগ করেনি। এইমসে সুলভ বলে একটি সংস্থা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছে। জানে না বলে হাত-পা ছুঁড়ছে! আইনি লড়াইয়ে আমাদের বিধায়কদের সম্মান রক্ষিত হবে। সিআইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর জন্য’।চলতি বছরের ২০ মে এইমসে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা তিনি। সরিফুলের দাবি, তিনি একজন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কল্য়াণী এইমসে চাকরি পাননি। কেন? অভিযোগ, বিজেপি নেতারা টাকার বিনিময়ে অনেক চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন! এরপর ঘটনা তদন্তভার নেয় সিআইডি।