২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টির হোর্ডিংয়ে শোভা পেল ‘খেলা হবে’

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ‘খেলা হবে’ (Khela Hobe)। ছোট্ট দুটি শব্দ পাশাপাশি বসে কার্যত ‘বিপ্লব’ এনে দিয়েছিল বঙ্গে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অসংখ্য প্রচারসভা সত্ত্বেও জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছিল বিজেপির। রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় পুনরাগমন ঘটিয়েছিল তৃণমূ‌ল কংগ্রেস (TMC)। আর সেই নিরঙ্কুশ জয়ের স্লোগান হয়ে উঠেছিল এই ‘খেলা হবে’। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিধানসভা নির্বাচনেও তাই সেই স্লোগানই ফিরে এল আবার! সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) হোর্ডিংয়ে শোভা পেল ‘খেলা হবে’।

    কানপুরে ছেয়ে গিয়েছে সমাজবাদী পার্টির হোর্ডিং। তাতে লেখা ‘অব ইউপি মে খেলা হোই’। অর্থাৎ ‘এবার উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে’। ইঙ্গিত পরিষ্কার। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনেও হারবে বিজেপি। সেই হোর্ডিংয়ে দেখা যাচ্ছে সাইকেল চিহ্ন আর দলনেতা অখিলেশ যাদবকে (Akhilesh Yadav)। সঙ্গে দুই স্থানীয় নেতা অভিষেক গুপ্তা ও ড. ইমরানকে।

    কানপুরে দলের সভাপতি ইমরানই ওই হোর্ডিংগুলি লাগানোর ব্যবস্থা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘কানপুর জুড়ে আমরা এই হোর্ডিং ছড়িয়ে দিয়েছি। কেননা খেলা তো এবার সত্যিই উত্তরপ্রদেশে। যেভাবে বাংলায় অশালীন ভাষা ব্যবহার করার প্রত্যাশিত ফলই পেয়েছে বিজেপি, একই ভাবে ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশেই একই ফলাফল হবে তাদের।’’

    নির্বাচন আগামী বছরে। কিন্তু এখন থেকেই যেন ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কাঠগড়ায় তুলে অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছেন, অগভীর রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যকে চরম বেকারত্বের মধ্যে এনে ফেলেছেন যোগী। জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ লক্ষ চাকরি দেবেন বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা সত্যি হয়নি। রাজ্যের অর্থনীতির অবনতির জন্য দায়ী বিজেপিই।’’

    প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ন‌ির্বাচনে রাজ্যে ‘খেলা হবে’-র পাশাপাশি আরও অনেক স্লোগান, গান তৈরি হলেও প্রভাবে ও জনপ্রিয়তায় এর ধারেকাছে কেউই আসতে পারেনি। তৃণমূল ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের দাবি, মাঠে বসে মিনিট কুড়ির মধ্যে এই গান লিখেছিলেন তিনি। যদিও এমনও শোনা যায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নাকি তারও আগে এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন। তবে যিনিই প্রথম ‘খেলা হবে’ বলে থাকুন না কেন, একে জনপ্রিয়তার শিখরে তুলে নিয়ে গিয়েছেন দেবাংশুই। উত্তরবঙ্গের এক সভায় ওই স্লোগান তুলে ছড়া কাটেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় নিমেষে। ছড়িয়ে পড়ে ওই স্লোগান। এবার তা পৌঁছে গেল উত্তরপ্রদেশেও।