|
---|
সংবাদদাতা : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিকে দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জোড়াফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী করুন, জয়ী করুন, জয়ী করুন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রচারে নদীয়ার মাটিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাগতম, স্বাগতম এই স্লোগান তুলে মঙ্গলবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিপ্লব দে (সজল)-এর আহ্বায়নে মহা মিছিল হয়। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম পালের ওপর পরিকল্পিত হামলার বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজ, শিক্ষক সমাজ, শিক্ষাবন্ধু সমাজ এক হওয়ার আহ্বায়নে বিশাল মিছিল হয়। মঙ্গলবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষা বন্ধু কর্মচারী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা সহযোগে প্রায় তিন শতাধিক মানুষের যোগদানে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন হয়। গত ১৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম পাল-এর ওপর সিপিএম সমর্থিত কর্মচারীদের পরিকল্পনামাফিক আক্রমণ হেনস্থা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের প্রতিবাদস্বরূপ এই মিছিল সংঘটিত হয়। এছাড়াও অভিযোগ ওই দিন প্রতাপ সাতরা নামে শিক্ষাবন্ধু কর্মচারীর ওপরও সিপিএম সমর্থিত দুষ্কৃতিকারীরা আক্রমণ করে। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক বিবেকানন্দ মুখার্জি, অধ্যাপক নন্দ ঘোষ, অধ্যাপক সুশীল কুমার মন্ডল, শিক্ষাবন্ধু সমিতির সভাপতি অঞ্জন দত্ত, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বর্তমান গবেষক শ্রী তন্ময় আচার্য, গবেষক ও শিক্ষাকর্মী ফারুক আহমেদ, গবেষক ইয়াসিন জামান, সায়ন দত্ত, জিসান আহমেদ, ছাত্রনেতা সজল ঘোষ, আসিস ঘোষ, মামুন হাসান প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলাভঙ্গকারী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যোগ্য ব্যবস্থা না গ্রহণ করার জন্য এই মিছিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্টার দেবাংশু রায়ের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ মূলক স্লোগান উচ্চারিত হয়। মিছিল থেকে দাবি করা হয় যে ১৫ দিন কেটে গেলেও বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও এবং প্রমাণ স্বরূপ কর্তৃপক্ষের কাছে ভিডিও ক্লিপ জমা দেওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদস্বরূপ এই মিছিলের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ ছাত্রছাত্রী এবং গবেষক গবেষিকাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। কারণ তারাও সহ উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম পালের ওপর দুষ্কৃতিকারী এইসব সিপিএম কর্মচারীদের নোংরা ব্যবহার ভালো চোখের নেন নি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা, গবেষক ও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সকলেই চান এহেনও ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ কর্তৃপক্ষ অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে যোগ্য ব্যবস্থা নিক। কিন্তু কি এক অজ্ঞাতনকারণে ১৫ দিন কেটে যাওয়ার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজও পর্যন্ত কেন কোন ব্যবস্থা নিলেন না তার কোন সদস্য রেজিস্টার দেবাংশু রায়ের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। বলাবাহুল্য অধ্যাপক গৌতম পাল বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের মাননীয় সভাপতির পদ অলংকৃত করে আছেন। কেন গৌতম বাবুর প্রতি পরিকল্পনামাফিক এমন হেনস্তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আজও পর্যন্ত কেন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলেন না তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। মিছিলের শেষ বক্তারা বলেন যে আগামী দিনে সত্ত্বর এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসন সঠিক ব্যবস্থা না নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা গণতান্ত্রিক ভাবে আরও অনেক বড় আন্দোলনের পথে যাবে।