বেঁচে থাকার জন্য সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে প্রতিবন্ধী যুবক ও তার মা

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক:
সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। দু টো হাতও স্বাভাবিক নয়।খেটে রোজগার করার শারীরিক ক্ষমতাও নেই বছর 22 এর এই প্রতিবন্ধী যুবকের। স্বাভাবিক আরো_পাঁচটা মানুষের মত নয়। তবু তাঁর জোটেনি প্রতিবন্ধী গাড়ি বা হুইল চেয়ার। ভেঙে পড়া মাটির টিনের ঘরের দাওয়ায় তার একমাত্র বেঁচে থাকার অবলম্বন তার বিধবা মাকে নিয়ে রাত কাটান পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি 1 নম্বর ব্লকের_ _দেবীপুর অঞ্চলের বাসিন্দা শম্ভু ঠাকুর । ইন্দিরা আবাস যোজনায় বা সরকারি প্রকল্পে জোটেনি তার মা পারুল ঠাকুরের ঘর। গত 4 বছর হলো শম্ভু ঠাকুরের বাবা মারা গেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার মা বিধবা ভাতা থেকে বঞ্চিত।_
_স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে সকল প্রশাসনিক দপ্তরের আবেদন করেও কোনো সুরাহা হয় নি।_

    কোনরকমে মাঠে-ঘাটে শাক `তুলে বাজারে বিক্রি করে তার বিকলাঙ্গ ছেলেকে নিয়ে দিনযাপন করছে পারুল ঠাকুর।

    আমাদের প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়ে তারা বলেন যে এই মুহূর্তে তাদের একটা ঘরের প্রয়োজন এবং শম্ভু ঠাকুরের একটি প্রতিবন্ধী গাড়ি বা ট্রাইসাইকেল প্রয়োজন এবং সেইসাথে শম্ভু ঠাকুরের মায়ের বিধবা ভাতা ও একটি যেকোনো কাজের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

    যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সরকারের পক্ষ থেকে এই_ _পরিবারটির ওপর দৃষ্টি আকর্ষিত হয় তাহলে হয়তো আগামী দিনে এরা বেঁচে থাকার আশার আলো দেখতে পাবে।

    সত্যনারায়ণ শিকদার সাথে অতনু ঘোষ এর রিপোর্ট। পূর্ব বর্ধমান