মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে মহিলা ফুটবলার নির্ভর সিনেমা “কুসুমিতার গপ্পো”-এর স্থান নেই নন্দনে। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন চলচ্চিত্র পরিচালক হৃষিকেশ মন্ডল। শুনলেন তানবির কাজি

শুরুতে নন্দন বিতর্ক সম্পর্কে জানতে চাইবো।
নন্দনে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য আগে প্রিভিউ কপি জমা দিতে হয়। দায়িত্ব নিয়ে জমা করেছিলাম। তারপর কোনো খোঁজ দেয়নি। একসপ্তাহ আগে জানতে পারি নন্দন ১-এ দেওয়া যাবে না। ইন্দ্রানী হালদার,বুম্বাদা আরও সব বড়ো প্রোডাকশন হাউসের ছবি চলছে বলে হয়তো। আচ্ছা বেশ। বললো,নন্দন ২ -এ দেওয়া হবে। এখন শুনলাম সেটাও হচ্ছে না। অনেক সিনেমার চাপ আছে। পরের সপ্তাহে দেওয়া হবে। মানে রিলিজের পরের সপ্তাহে। আসলে বর্তমান সরকারের যারা আশেপাশে আছে তাদের লোক ছাড়া জায়গা পাওয়া খুব মুশকিল। ফিল্ম সেন্টার ছাড়াও অনেক জায়গায় আবেদন করেছি, কিছু হয়নি।
সরকার কি তাহলে হস্তক্ষেপ করছে?
এটাই তো প্রশ্ন, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যে একজন মহিলা ফুটবলার নিয়ে যে ছবি বানানো হয়েছে তা নন্দনে স্থান পাচ্ছে না। কিন্তু নারী জাগরণের কথা সব জায়গায় শোনা যায়,এমন দ্বিচারিতা কেন?
কিছুদিন আগে “ভবিষ্যতের ভূত” সিনেমার ক্ষেত্রেও সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল – এই ব্যাপারে আপনার কি মতামত?
দেখো “ভবিষ্যতের ভূত” হোক বা “কুসুমিতার গপ্পো”,প্রতিটি ছবি খুব কষ্ট করে তৈরী করা হয়। সবাই চাই মুক্তি পাক। মানুষ দেখুক। কিন্তু তারজন্য যে সিস্টেম থাকা দরকার তা নষ্ট হচ্ছে। সেটা মাননীয় সরকার না দেখলে বাংলা সিনেমার ভবিষ্যত খুব খারাপ হবে।

    কিছুদিন আগে ফুটবলার এবং অভিনেতা শিলটন এবং অভিনেত্রী উষশী ছবির প্রচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন-আপনি বলবেন তাদের বক্তব্য সম্পর্কে?
    সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রী-পরিচালক-প্রযোজক সবাই চাই সিনেমা অনেক সিনেমা হলে চলুক। প্রচুর মানুষ দেখুক। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রযোজক প্রথমে ভেবেছিল সব হয়ে যাবে। তাই সেভাবে প্রচার হয়নি। তবে এখন বুঝতে পেরেছে। ভবিষ্যতে আর সে ভুল হবে বলে মনে হয় না।
    “অচেনা বন্ধু” -এর পর “কুসুমিতার গপ্পো” – দুটো সিনেমায় একঝাঁক সংগীতশিল্পী। মনে হয় যেন সংগীতের সঙ্গে আপনি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন।
    মানুষের ভাগ্যে সব ভালো হয় না। কিছু জিনিস ভালো হয়।আমার গানের ভাগ্য ভালো।গান খুব ভালোবাসি। আমার সিনেমার গানগুলো হিট হয় খুব। এবং সবথেকে বড়ো ব্যাপার ভালো ভালো সংগীতশিল্পীর সঙ্গে কাজ করে আত্মতৃপ্তি পাই।
    সবশেষে বলুন, কেন দর্শক সিনেমাটি দেখতে যাবে?
    দর্শকদের একটায় কথা বলবো,ছবিটা একজন মহিলা ফুটবলার নিয়ে করা হয়েছে। এবং ভারতে প্রথম কোনো মহিলা ফুটবলারকে নিয়ে সিনেমা বানানো হলো। এছাড়াও কুসুমিতার জীবনে রাজনীতি কি প্রভাব ফেলেছিল আপনারা দেখতে পাবেন। যারা খেলা দেখেন তাদের জন্য বলে রাখি সিনেমার অনেকটা অংশ রিয়াল খেলার সময় শুটিং করা হয়েছে। আশাকরি আপনাদের সবার সিনেমাটি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।