|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার গৃহবধূর । খুনের অভিযোগে আটক স্বামী,শ্বশুর ও ননদ । লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ির ঘটনায় চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের একাধিক জায়গায় আঁচড় ও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহবধূর নাম পায়েল রায়। রবিবার সন্ধেবেলায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ জামাই ও শশুড়বাড়ির লোকজন মিলে খুন করেছে মেয়েকে। পায়েলের মায়ের দাবি, জামাই সন্দেহবাতিক। . মেয়েকে সন্দেহ করতেন। এর আগেও এই নিয়ে মারধর করেছেন। এবার খুন, অভিযোগ পরিবারের। রাতে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। যদিও স্বামীর পাল্টা দাবি, স্ত্রীর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। । সেই নিয়ে ঝামেলাও হত দুজনের। গত কালও এই নিয়ে অশান্তি হয়। সন্ধ্যাবেলায় তিনি যখন বাথরুমে, তখনই সম্ভবত আত্মঘাতী হন পায়েল, দাবি সুমনের। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী, শ্বশুর ও ননদকে রাতে লেকটাউন থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটকও করা হয়েছে। আজ দেহ ময়নাতদন্ত হবে। কী ভাবে মৃত্যু সেটা খতিয়ে দেখছে লেকটাউন থানার পুলিশ। আদতে সল্টলেকেরক বাসিন্দা ২৯ বছরের পায়েলের সঙ্গে ২০১৮ সালে সুমনের বিয়ে হয়েছিল। দম্পতির ৩ বছরের ছেলেও রয়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ঋণ বিভাগে কাজ করেন সুমন। আপাত ভাবে সবই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু পায়েলের পরিবারের অভিযোগ, জামাইয়ের সন্দেহবাতিক স্বভাবই কাল হল।হালে আরও এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে বাঁকুড়া জেলার ছাতনা থানার অন্তর্গত জিড়রা গ্রামেও চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছিল। মৃতার নাম ছিল সমাপ্তি মণ্ডল। সমাপ্তির পরিবার জানায়, মাসতিনেক আগে জিড়রা গ্রামেরই রমেন মণ্ডলকে ভালবেসে বিয়ে করেন সমাপ্তি। স্থানীয় বেসরকারি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন রমেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ভালোবাসার ছবিটা পাল্টে যায় বলে অভিযোগ। সমাপ্তির পরিবারের দাবি, স্কুটি এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা পণের দাবিতে সমাপ্তির উপর নিয়মিত চাপ দিতেন রমেন এবং তাঁর মা মমতা মণ্ডল। রমেনের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে থেকে পুলিশ জানতে পারে যে, শনিবার সকালে কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন তিনি। তার কিছু ক্ষণ পরই নিখোঁজ হয়ে যান সমাপ্তি। দীর্ঘ ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির নির্মীয়মাণ শৌচাগারে সমাপ্তির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান শাশুড়ি। তিনিই ফোন করে ছেলেকে বিষয়টি জানান। বাড়ি ফিরে এসে গলার ফাঁস খুলে সমাপ্তির দেহ নামান রমেন। তাঁর দাবি, সমাপ্তি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। রমেন এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। তার ভিত্তিতে যুবক এবং তাঁর মাকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়।তার পর ৭২ ঘণ্টাও পেরোল না। ফের এক গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু। এবার লেকটাউনে।