লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে স্ত্রীর সাহায্যে দেহ পাচার!

নিজস্ব সংবাদদাতা : একইসঙ্গে কাজ করতেন ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে। করতেন লিভ-ইন। কিন্তু, সেই প্রেমিকাই সম্প্রতি তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে এনেছিলেন ধর্ষণের অভিযোগ। ভেঙে গিয়েছিল সম্পর্ক। যদিও অভিযোগ তোলার জন্য মহারাষ্ট্রের পালঘরের ২৮ বছরের ওই যুবতীর উপর লাগাতার চাপ সৃষ্টি করছিলেন তাঁর লিভ-ইন পার্টনার। কিন্তু, কাজ হয়নি কিছুতেই। ঝরল রক্ত। গুজরাট থেকে উদ্ধার হল ওই যুবতীর নিথর দেহ। এ ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের প্রশাসনিক মহলে। যদিও গুজরাটের ভাপিতে যখন ওই তরুণীর দেহ পাওয়া যায় তখন তা নিয়ে খুব একটা ধোঁয়াশা দেখা যায়নি বলে খবর। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল দুর্ঘটনার মধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও মহারাষ্ট্র ও গুজরাট পুলিশের যৌথ তদন্ত শুরু হতেই জানা যায় আসল ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত তরুণী পেশায় মেকআপ আর্টিস্ট কাম হেয়ার ড্রেসার। দীর্ঘদিন থেকেই মুম্বইয়ের ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রিতে কাজ করছেন। কাজের সূত্রেই এক কস্টিউম ডিজাইনারের সঙ্গে আলাপ, প্রণয়। তারপর তাঁরা লিভ-ইন করতেও শুরু করেন। সেই যুবকের বিরুদ্ধে উঠেছে খুনের অভিযোগ। এদিকে ওই যুবকের আবার আগে বিয়েও হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে মৃতার বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

     

    পুলিশ সূত্রে খবর, নাইগাঁওয়ে একটি ভাড়া বাড়িতে লিভ-ইন করতেন দু’জনে। সম্প্রতি বিয়ে করার জন্য যুবককে চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর প্রেমিকা। কিন্তু, বিয়ে করতে চাননি ওই যুবক। এরইমধ্যে ওই তরুণী যুবকের নামে আনেন ধর্ষণের অভিযোগ। যে অভিযোগ তোলার জন্যই তরুণীকে চাপ দিচ্ছিলেন ওই যুবক। মৃতার বোন জানাচ্ছেন ভিরার থানা ও ওয়ালিভ থানায় মনোহরের বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর দিদি। তারপর থেকে তা তোলার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁর প্রেমিক। এরইমধ্যে চলতি বছরের অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে তরুণীকে খুন করে তাঁর দেহ স্যুটকেসে ভরে গুজরাটে দিয়ে আসেন ওই যুবক। এই কাজে তাঁকে তাঁর স্ত্রীও সাহায্য করেছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। নাইগাঁও পুলিশ সোমবার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ (হত্যা) এবং ২০১ (অপরাধের প্রমাণ লোপাটের) এর অধীনে একটি এফআইআর দায়ের করেছে।