|
---|
রায়দিঘী: নুরউদ্দিন : সুন্দরবনের নদী বাঁধ, জয়নগর থেকে রায়দিঘি রেলপথ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রায়দিঘি থেকে বামের প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,দেখো এটা লোকসভার ভোট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দাঁড়িয়েছে, নীতি, আদর্শ লড়াই, এক একটা দলের দেশকিও ভাবনাচিন্তার লড়াই হবে, ব্যক্তিটা বড় কথা নয় ব্যক্তিরা একটা ভূমিকা, সেই ব্যক্তি যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তাকে জনগণের নির্বাচিত করা সঠিক নয়, এখন ধরো এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আছে। আমাদের প্রচারের মূল বিষয়বস্তু যদি বলো, দেশের সংবিধান গণতন্ত্র ধর্ম নিরপেক্ষতা রক্ষা করার লড়াই, তেমনি এই রাজ্যে দোচ্যর বাটপড়াদের দল তৃণমূল কংগ্রেস! এ টু জেড মানুষ বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দল চরেদের দল! কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের বড় প্রচার রায়দিঘিতে রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য! আপনারা সবাই জানেন রায়দিঘিতে ২০১০ সালে বিশাল ঘটাকরে জয়নগর রায়দিঘি রেলপথ হবে,তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে, তখন রেলমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী আছে এবং মুখ্যমন্ত্রী থেকে রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন মানুষের মধ্যে হৈচৈ বাধল গাড়ি-ঘোড়া দৌড়ঝাপ করল! আজ প্রায় ১০-১১ বছর হয়ে গেল জয়নগর রায়দিঘি রেলপথের কাজ হলো না? আমি যখন সুন্দরবন দপ্তরের দায়িত্ব ছিলাম রায়দিঘিতে একটা কর্পোটিপ রাইস মিল ছিল সেটা দেউলিয়া হয়ে যায়, সুন্দরবন দপ্তর সেটা কিনে নেয়, সেখানে বাস স্ট্যান্ড মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করার কথা, এখন রায়দিঘি কঙ্কনদিঘি ব্রিজ হওয়ার পর রায়দিঘিতে যানজট মারাত্মক হয়ে যায়,সেই কাজ ৫৮কোটি টাকা, শুরু হয়েছিল তারপর ছিটেফোটাও এগলোনা, এটা প্রচারে যেমন আছে! আর এই রাজ্যের সরকার বলে দিল্লি টাকা দেয় না টাকা দেয় না,আইলার সময় ৫০৩২ কোটি টাকা আমরা কিন্তু আদায় করেছিলাম, ১১ সালে আমরা ক্ষমতায় নেই, তিন বছর ছিল মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ৪ বছর করলো, সেই টাকা ৭৭ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বাকি টাকা সব ফেরত গেছে নদী বাঁধে মাটি পরলো না, সুন্দরবনবাসী কিন্তু বিপদগ্রস্ত, যেখানেই যাবে এলাকার বাসিন্দারা বলবে কংক্রিট বাঁধ চাই! দিল্লি টাকা দিল আর এরা খরচ করতে পারল না! তাই নদী বাঁধ নিয়ে লোকের কাছে আমাদের বলা, আমাদের সুন্দরবনের সবথেকে বিপদ হচ্ছে নদীবাঁধ।