মেধা তালিকায় ঠাঁই নেই, আক্ষেপের সুর অনেক ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে

নতুন গতি, মোথাবাড়ি : মাধ্যমিকের ফলাফলে মালদায় খুশির হাওয়া থাকলেও কারো কারো মধ্যে রয়েছে আক্ষেপের সুর। মেধা তালিকা থেকে কয়েক নম্বরের জন্য ছিটকে যাওয়ার চিন্তা গ্রাস করছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। এবার মাধ্যমিকের ফলাফলে জেলায় তুলনামূলক ভাবে সার্বিক ফলাফলে খুশি হলেও রাজ্য মেধাতালিকায় নাম না উঠায় হতাশ মালদা। যদিও রাজ্যে দশম হয়ে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে সায়নিকা দাস। তবে সৃজা দাস বকসি ৬৭৯ নম্বর পেয়েছে। অল্পের জন্য মেধা তালিকা থেকে ছিটকে গেছে। সৃজার আক্ষেপ একটু আর বেশি করে পড়তে হতো মনে হয়। তবে নম্বর কম পেয়েছি কয়েকটি বিষয়ে। আগামীতে আরো ভালো করে পড়াশোনা করে দৃষ্টান্ত গড়ে তোলার ইচ্ছা আছে। মালদা অক্রুরমণি করোনেশন হাইস্কুল। শহরের ঐতিহ্যবাহী স্কুল। এই স্কুলের ছাত্র রেজাসতিয়ার্ড সন্দীপন। সে 677 নম্বর পেয়েছে। অল্পের জন্য মেধা তালিকায় নাম ওঠেনি। সে বাংলায় 96, ইংলিশে 90, ইতিহাস 96 ,ভূগোল 100, অংক 100, ফিজিক্স 97, জীবন বিজ্ঞান 98 , গত বছরে মেধা তালিকায় কয়েক জনের নাম ছিল। এবারও আশায় বুক বেঁধেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ ।রেজাসতিয়ার্ড রাজ্যে রেংক করবে কিন্তু কয়েক নম্বরের জন্য তার মেধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি। তার মা রোজিনা খাতুন নয়াবাজার হাইস্কুলের পার্শ্ব শিক্ষিকা ও বাবা শামসুল হুদা নুরপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তারা। যথেষ্ট আশাবাদী ছিল মা বাবা । তারা জানান, ইংরেজিতে কম পেয়েছে। ভবিষ্যতে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই সে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল কুমার ঝা বলেন, সকলেই কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে। কয়েক নম্বরের জন্য রেজাসতিয়ার্ড এর রেঙ্ক হয়নি। তার প্রতিভা রয়েছে। সে সঠিক ভাবে পড়াশোনা করলে জীবনে বড় কিছু হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান শিক্ষক। রেঙ্ক এর আক্ষেপের সুর থাকলেও এবার ও মোট ১৫৭ জন ছাত্র কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে। মালদা শহরের বার্লো গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী কারিয়া হোসেন। কয়েক নম্বরের জন্য রেঙ্ক হয় নি । 673 নম্বর পেয়ে অনেকটাই তাক লাগিয়েছে কারিয়া হোসেন। মালদা শহরে মিরচকে বাড়ি। বার্লো স্কুলে যুগ্মভাবে আরো একজন তৃতীয় স্থানলাভ করেছে প্রেরণা দাস। সে পেয়েছে 673 নম্বর। এই ফলাফলে তারা যে খুশি নয় কথাবার্তায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। আর্টস এ নম্বর অনেকটা কম পেয়েছে তারা। তাদের দুজনের আক্ষেপ অল্পের জন্য মেধা তালিকায় ঠাঁই হয়নি। তবে ভবিষ্যতে যাতে আরো ভালো ফলাফল হয় চেষ্টা করব জানান ওই ছাত্রীরা।