ম্যাজিক চাল উত্‍পাদক বিহারের বিজয় গিরি

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বে অনেক জাতের ধান উত্‍পাদিত হয়। আপনিও নিশ্চয়ই অনেক জাতের ধানের কথা শুনেছেন, কিন্তু কখনও কি এমন চালের কথা শুনেছেন যা গরম জলের বদলে ঠান্ডা জলে রান্না হয়? আজ আমরা আপনাকে এমন একজন কৃষকের কথা বলতে যাচ্ছি যিনি তার জমিতে এমন ধান উত্‍পাদন করেন যা রান্না করতে গরম নয় বরং ঠান্ডা জলের প্রয়োজন হয়।

    এই চাল ম্যাজিক চাল নামে পরিচিত। ‘দ্য বেটার ইন্ডিয়া’ অনুসারে, বিহারের পশ্চিম চম্পারণের হারপুর গ্রামে বিজয় গিরি নামে এক কৃষক রয়েছেন। যাকে মানুষ ম্যাজিক চাল উত্‍পাদনের জন্য চেনে।

    64 বছর বয়সী বিজয় গিরি নতুন জাতের ধান ও গমের চাষ নিয়ে আজকাল আলোচনায় রয়েছেন। সারা দেশের কৃষকদের কাছেও তিনি উদাহরণ। বিজয় গিরি দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং তার 12 একর পৈতৃক জমিতে চাষাবাদ করেন। বিজয় গিরি তার জমিতে ঐতিহ্যবাহী ধান, গম, ডাল ইত্যাদি ফসল ফলাতেন। কিন্তু জৈব চাষের প্রবণতা শুরু হলে তারাও তা গ্রহণ করে। এরপর তিনি কৃষি বিষয়ক মেলা ও অনুষ্ঠানে যেতে শুরু করেন, যেখান থেকে তিনি অনেক কিছু শেখার সুযোগ পান। পাঞ্জাবের মোহালিতে এমনই এক অনুষ্ঠানে কালো গমের কথা জানতে পারেন তিনি।

    একইভাবে পশ্চিমবঙ্গে তিনি কালো ধান ও ম্যাজিক চালের জাত সম্পর্কে তথ্য পেয়েছেন। বিজয় এই তিনটি জাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরে চাষ শুরু করেন। যার জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। বিজয় গিরিও এক একর জমিতে ম্যাজিক ধান চাষ করেন। এই জাতের ধান আসামে প্রচলিত, সেখানেও জিআই ট্যাগ পাওয়া গেছে। এই ধানের বিশেষত্ব হল এর চাল কোনও এলপিজি বা চুলায় রান্না করতে হয় না। এই চালটি 45-60 মিনিটের জন্য সরল জলে রাখলে রান্না হয়।

    খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর স্বাদ সাধারণ ভাতের মতোই। এই চালের বিশেষত্ব হল এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন রয়েছে। তাই এই চালের সুনাম শুধু সারা বাংলাতে নয় সারা ভারতেই বিখ্যাত হবে এটাই আমার বিশ্বাস।