বীর চিলা রায়ের জন্মদিবসে নারায়ণী সেনাকে উন্নত করার অঙ্গীকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: বীর চিলা রায়ের জন্মদিবসে নারায়ণী সেনাকে আর উন্নত করার অঙ্গীকার করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহারে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বীর যোদ্ধাদের সম্মানে নারায়ণী সেনায় কর্মসংস্থানের বা্র্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনা ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হয়েছে। তাঁদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাও উন্নত করা হবে। এছাড়া রাজ্য সরকার বীর চিলা রায়ের ১৫ ফুট উঁচু মূর্তি স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কোচবিহারের বাবুরহাটে তৈরি হবে ওই মূর্তি। আমি চাই, বীর চিলা রায়ের কথা জানুক পুরো দেশ। আর আমাকে অনন্ত মহারাজ এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর সময় দাবি করেছিলেন রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে তৈরি করে দেওয়ার। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে সেই রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এদিন নতুন তৈরি ওই রাস্তার নামকরণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ওই রাস্তার নামকরণ করেন মহাবীর চিলা রায় রোড। কোচবিহারে মহাবীর চিলা রায় কমিউনিটি হল তৈরির কথাও জানান তিনি।

    এদিন কোচবিহারে প্লেন চালানোর দাবি তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা কোচবিহার বিমানবন্দর করে দিয়েছি। এবার প্লেন চালু হোক, কোচবিহারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, রাজবংশী ভাষায় আরও ২০০ স্কুল তৈরি হবে। কোচবিহারে হেরিটেজ শহর তৈরি হবে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘোষণা করেন, বীর চিলা রায়কে সম্মান জানাতে তৈরি হবে মূর্তি। ১৫ ফুট উঁচু মূর্তিটি কোচবিহারের বাবুরহাট চেকপোস্টে বসানো হবে। ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই মূর্তি স্থাপন হবে। বীর চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মদিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত কোচবিহারের রাজবংশী মানুষজন।

    এদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পি লাহিড়ীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত জন সাধারণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, তাঁকে চলে যেতে হবে তাড়াতাড়ি। কেননা তাঁকে ফিরতে হবে কলকাতায়। আমার খুব পছন্দের মানুষ ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তাঁর শেষকৃত্যের অংশ নিতেই ফিরতে হবে তাঁকে। তিনি এরপর দুঃখ প্রকাশ করে জানান, শেষ বয়সে বড় দুঃখ পেয়েছেন সন্ধ্যাদি। তাঁকে পদ্মশ্রী নয়, তাঁকে দেওয়া উচিত ছিল ভারতরত্ন। তিনি তো ভারত রত্নই। পদ্মশ্রী দেওয়ার কথা বলে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে। অনেক আগে তাঁকে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ দেওয়া ছিল।