|
---|
ইসরাফিল বৈদ্য,হাড়োয়া : রাজ্য জুড়ে সবুজ আবীরের ছটায় আনন্দে মেতে উঠেছে মা মাটি মানুষের কর্মীরা। মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের সময় যত গড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যাবধান ততই বেড়েছে। উল্লেখ্য রাজ্যের প্রতিটি জেলা পরিষদের বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি উঃ চব্বিশ পরগনা জেলায় বিরোধী দলগুলোর আস্ফালন ধোপে টেকেনি জোড়াফুলের কাছে। বলাবাহুল্য জেলা পরিষদের প্রার্থীরা কে কত ব্যাবধানে জয় ছিনিয়ে আনবে তারই লড়াই দেখা গেছে।বারাসাত দুই ব্লকের তিনটি জেলা পরিষদের আসন দখলে রাখল শাসক দল। জেলা পরিষদের ৩৭ নম্বর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন মমতা সরকার, ৩৮ নম্বর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন একেএম ফারহাদ এবং ৩৯ নম্বর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন সাবিনা খাতুন। পাশাপাশি বারাসত ২ পঞ্চায়েত সমিতির ২১ টি আসনই তৃণমূলের দখলে। এছাড়া বারাসাত ২ ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।উল্লেখ্য বাম আমলে এই জেলার শাসন এলাকায় দুস্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত থাকলেও তৃণমূল পরিচালিত শাসনে বিগত দিনের নৈরাজ্য দেখা যায় না।প্রায় চল্লিশ হাজার ছুঁই ছুঁই ভোটের মার্জিনে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতীর থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বিদায়ী জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা পঃবঃ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি, একেএম ফারহাদ। গভীর রাতে জয়ের শংসাপত্র হাতে নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার ফাঁকে তিনি বলেন মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়নের ধারায় তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিপুল সাফল্য। তিনি বলেন রাজ্যের মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনহিতকর কর্মসূচি যে প্রভাব বিস্তার করেছে তা অনন্য।বাংলার সাধারণ মানুষের সার্বিক কল্যাণে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা সারা বছর মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যায়। দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমদের মতো নেতৃত্বের নির্দেশে বছরভর কর্মের ফল। পাশাপাশি তিনি বলেন শাসন এলাকায় বিগত দিনে বামফ্রন্টের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শ্রী শম্ভুনাথ ঘোষ ও স্থানীয় বিধায়ক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস যে ফলাফল করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। এই জয় কর্মীদের যারা সারা বছর পাশে থেকে দলকে চাঙ্গা করে গেছে।