প্রবল বর্ষণে ভাসছে মেদিনীপুর, ভেঙেছে কয়েকশ কাঁচাবাড়ি

নতুন গতি, মেদিনীপুর: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিভূত নিম্নচাপের কারণে গত দুদিনের প্রবল বর্ষণে মেদিনীপুরের একাধিক স্থান জলের তলায়। চিন্তা বাড়ছে ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুর সহ বন্যা কবলিত এলাকা । কেশপুরের পালংপুর, ঝেঁতলা , মুগবসান গোলার, খরিকা, কলাগ্রাম, পারুলিয়া সহ বিস্তৃর্ণ এলাকা জলের তলায়। প্রচুর কাঁচা বাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে অনেক গবাদি পশুর। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েকশো পরিবার।

    ঘাটালের শিলাবতীর জল বাড়ছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে ঘাটালবাসী। তাঁরা সিঁদুরে মেঘ দেখছে। জোর কদমে চলছে নজরদারি। দড়ি দিয়ে ভালো করে বাঁধা হচ্ছে ভাসাপোলকে। ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরেও জল। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল থাকায় বৃষ্টি হলেই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্বরে জমে হাঁটু সমান জল। দুর্ভোগ রোগীর আত্মীয় সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের।

    বুধবার সকালে শালবনী টাঁকশাল সংলগ্ন জুলির চাথালে এক চাকার গাড়ি পারাপারের সময় জলের তোড়ে ভেসে যায়। এই গাড়ির মধ্যেই গাড়ির চালক ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ চালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে, স্থানীয়দের তৎপরতায় চালককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন শালবনী থানার পুলিশ আধিকারিকরা।আবার সেই একই চাথালে শালবনি থানার সিভিক অজয় মাহাতো ভেসে যাচ্ছিলেন ।স্থানীয়দের সাহায্যে তাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আদ্রা ডিভিশন এর অন্তর্গত গোদাপিয়াশাল-মেদিনীপুর স্টেশনের মধ্যবর্তী 100 থেকে 200 মিটার রেললাইনে ধ্বস নামে। ফলে আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


    রাতভর বৃষ্টির জেরে জলে ডুবে গিয়েছে খড়গপুর রেলস্টেশনও। জল জমেছে নিমপুরা রেল ইয়ার্ডেও। জলমগ্ন খড়্গপুর শহরের রেলকলোনি সহ একাধিক এলাকা। একই অবস্থা মেদিনীপুর শহরেরও।প্রবল বর্ষণে মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনে “বিদ্যাসাগর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ” এর প্রাচীর ভেঙ্গে পড়েছে।