|
---|
জাকির হোসেন সেখ, নতুন গতি : খাশোগী হত্যাকান্ড তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। এই যাত্রায় তুরস্ক একটু উনিশ বিশ করলেই আবারো উত্তাল হয়ে উঠবে মধ্যপ্রাচ্য। তুরস্ক বিরোধীরা তো বটেই যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদীবাদী ইজরায়েলও এটাই চাইছিল। কারণ এতে তাদেরই লাভ। যদিও মুখে অন্যকথা বলে চলেছে আমেরিকা।
এমনিতেই সম্প্রতি মুসলমানদের ক্ষমতার প্রতিনিধিত্বকারী এরদোগান মুসলমান বিরোধীদের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধছিলেন। খাশোগী হত্যা তাই তুরস্ককে বিপদে ফেলার একটা গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।
২রা অক্টোবর থেকে নিখোঁজ থাকা জামাল খাশোগীকে ইস্তাম্বুলের দূতাবাসেই যে হত্যা করা হয়েছে, সৌদি রাজা গতকাল সেকথা স্বীকার করে নিয়ে, বিশ্বের বিক্ষোভে প্রলেপ লাগাতে সেদেশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-প্রধান আহ্মেদ আল আসিরি এবং মিডিয়া উপদেষ্টা সৌদ আল কাথানিকে বরখাস্ত করেছে। এই দুই পদস্থ আধিকারিকই নাকি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমানের খুব ঘনিষ্ট ছিলেন। তো সাংবাদিক খাশোগী হত্যাকান্ড নিয়ে যুবরাজের ওপর চাপ বাড়ছিল। অথচ যুবরাজ কিন্তু বহাল তবিয়তে !
সৌদি আরবের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে যে, ইস্তাম্বুলের দূতাবাসের মধ্যেই খাসোগী ও বাকি আলোচনাকারীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয় এবং এতেই খাশোগীর মৃত্যু হয়।
যদিও সৌদি আরবের অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ অ্যাল-মোজেব খাশোগীর দেহ কোথায় রয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানাননি। তিনি শুধু জানিয়েছেন যে ১৮ জন সৌদি নাগরিককে এই ঘটনায় তদন্তের জন্য আটক করা হয়েছে।
বলার কথা হলো, এরদোগানের এই আপাত বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে আশংকা। শত্রুরা তো থেমে থাকবে না। তাদের ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে। অতএব অপেক্ষা………