কুলটিকরি তে সবুজের পাঠশালায় কচিকাঁচাদের হাতে শিক্ষা ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলো মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুলটিকরী,ঝাড়গ্রাম: দীর্ঘ দেড় বছর ধরে প্রথাগত সরকারি বিদ্যালয় গুলি বন্ধ। কিন্তু বন্ধ নেই কচিকাঁচাদের স্বপ্নপূরণ, তাদের পঠন পঠন। এমনই চিত্র দেখা গেল ঝাড়গ্রামের কুলটিকরির জঙ্গলে ঘেরা আদিবাসী অধ্যুষিত পাটাশোল গ্রামে। গতবছর লকডাউনের কড়াকড়ি কেটে যাওয়ার পরই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনাবিধি মেনে বিকেলে খেলার ফাঁকে একটু একটু করে পাঠদান শুরু হয়েছিল এখানে। মূলতঃ কুলটিকরি এস সি হাই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক গৌরসাধন দাস চক্রবর্তী র উদ্যোগে তাঁরই কয়েকজন সহকর্মী ও ছাত্রদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠা Earth Care & Social Welfare Organisation নামক সংগঠনের অধীনে সামাজিক বনসৃজন প্রকল্পের পাশাপাশি শুরু হয়েছে অবৈতনিক পাঠশালা। প্রথমের দিকে বিকেলেই এই পাঠশালা হতো, পরবর্তী কালে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য বিষয় মাথায় রেখে সকালেই হয় ” সবুজের পাঠশালা”। গত ৫ ই জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের দিন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ঝর্ণা আচার্য্য উপস্থিত ছিলেন এখানকার একটি অনুষ্ঠানে।সেদিন থেকেই পাঠশালার কচিকাঁচাদের জন্য কিছু সাহায্যের পরিকল্পনা করেন তিনি। পাশে পেয়ে যান মেদিনীপুর ছাত্রসমাজ নামক সমাজসেবা মূলক সংগঠন কে। সেই উদ্যেশ্যেই রবিবার ঝর্ণা আচার্য ছাত্র সমাজের সহ -সম্পাদক অনিমেষ প্রামানিক, কোষাধ্যক্ষ কৌশিক কঁচ সহ ৮ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে উপস্থিত হন পাটাশোলে। ছাত্র সমাজ সংগঠনের সহযোদ্ধা সুব্রত দাস তাঁর ছেলে সুবর্ন-এর জন্মদিন এর অনুষ্ঠান কাটছাঁট করে খরচ বাঁচিয়ে এদিন ৬০ জন ছেলেমেয়ের হাতে খাতা, কলম পেন্সিল, ইরেজার, স্কেল, জ্যামিতি বাক্স, রং পেন্সিল, ইত্যাদি আরও কিছু শিক্ষা সামগ্রী ,চকলেট, বিস্কুট ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী ও একটি করে ছাতা তুলে দেন।

    এদিনের ছোট্ট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৌর বাবুর দুই সহকর্মী, সুবীর কুমার মণ্ডল ও সর্বেশ্বর মহাপাত্র মহাশয়, পাঠশালার সহযোগী শিক্ষক সুমন বিকাশ মণ্ডল, সমাজসেবী প্রদীপ কুমার মাইতি প্রমুখ। আর্থ কেয়ার এর পাঠশালা প্রকল্পে এখন ৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা পাঠদান করান। শুরু হয়েছে, অঙ্কন, যোগ ব্যায়াম ও আবৃত্তির ক্লাস। ছাত্রসমাজের কোষাধ্যক্ষ কৌশিক কঁচ বলেন ” আমাদের বর্ণপরিচয় প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এদিনের অনুষ্ঠানে সবুজের পাঠশালার পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।” এদিনের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ও দুই সংগঠনের মধ্য সমন্বয় সাধনকারী সমাজসেবী ঝর্না আচার্য অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান ও পরবর্তী সময়েও পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।