শিরাকোল হাসপাতাল ও বাজারের জন্য স্থায়ী ডাম্পিং ভ্যাট তৈরি করবেন সংখ্যালঘু মন্ত্রী

জাকির হোসেন সেখ, নতুন গতি, ৩ জুলাই, শিরাকোল, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পরামর্শে এবং দঃ ২৪ পঃ জেলার মগরাহাট ১ নং ব্লকের বিডিওর নির্দেশে শিরাকোল গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্দ্যোগে আজ ৩ জুলাই বেলা ১১টা থেকে শিরাকোল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

    শিরিকোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উস্থি ও শেরপুর খালকে আবর্জনা মুক্ত রাখতে, শিরাকোল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সংলগ্ন বাজারের আবর্জনা ফেলার জন্য স্থায়ী ডাম্পিং ভ্যাট তৈরির চুড়ান্ত ঘোষণা ছিল এই সভার উদ্দেশ্য। এতদিন পর্যন্ত যেটা না থাকায় উস্থি ও শেরপুর খালেই বাজার, দোকান ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যাবতীয় আবর্জনা ফেলা হয়ে আসছে। ফলে খাল বুজে নিকাশি ব্যবস্থা প্রায় রুদ্ধ হ‌ওয়া এবং কৃষি কাজেও বিশাল ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। অথচ বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় প্রশাসনিক ভাবেও কিছু করার উপায় ছিল না। ফলে বছরের পর বছর ধরে এই সমস্যা কৃষক থেকে সাধারণ মানুষ, সকলকেই অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। তার‌ই সমাধানে এলাকার বিধায়ক তথা সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, মগরাহাট ১ নং সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অসিম কুমার ঘোড়ুই, শিরাকোল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএম‌এইচ‌ও অরুপ নস্কর, বাজারের মালিক নুরুল ইসলাম, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনুফা বেগম,সহ সভাপতি মানবেন্দ্র মন্ডল, প্রধান মাধবী নস্কর, উপপ্রধান আব্দুল রহিম মোল্লা ভুলু, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের সদস্য মুজিবর রহমান মোল্লা এবং ছোট বড়ো ব্যবসায়ী ও দোকানদার মিলিয়ে কয়েক শো মানুষ এই সভায় হাজির ছিলেন।
    সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যে আবর্জনা ফেলার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে, এটা ভেবে সকলেই খুশি।