|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি, সুতি : বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতি থানার লক্ষিপুর এলাকায়। মৃত ওই কিশোরের নাম রহিম শেখ(১৩)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত বাবা শহিদুল শেখ। ইতিমধ্যেই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে সুতি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, পেশায় মাছ বিক্রেতা শহিদুল শেখ মাঝেমধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন চালাত। অন্যান্য দিনের মতো বুধবার ও সন্ধ্যা নাগাদ মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফিরে আসে সে। সে সময় বাড়িতে একাই ছিল ১৩ বছরের কিশোর তথা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র রহিম শেখ। কোন কারন ছাড়াই নিজের ছেলেকে ইট দিয়ে এলোপাথারি মারতে থাকে বাবা সাইদুল শেখ। ছোট্ট রহিমের চিৎকার শুনে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন। খবর পেয়ে ছুটে আসে মা সাইনারা বিবিও। গুরুতর জখম অবস্থায় রহিম শেখ নামে ওই কিশোরকে সুতি থানায় এলাকার মহিসাইল গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে বাবার হাতের ছেলে খুন কাণ্ডের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গোটা গ্রাম জুড়ে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সুতি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত বাবার সন্ধানে তল্লাশিও শুরু করা হয়েছে।