|
---|
বিশেষ প্রতিবেদন, ইজাজ আহমেদ: মোদীজী ৬০ মাস সময়কালের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ৫৬৫ দিন, অর্থাৎ ১৮ মাস ২৫ দিন (কিছু কম ১৯ মাস) বিদেশে কাটিয়েছেন। এটা পৃথিবীর যে কোনো দেশের ,যে কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে একটা রেকর্ড।
১০১ দিন রাজনৈতিক সভা – সমাবেশ করে কাটিয়েছেন। অর্থাৎ ৩ মাস ১১ দিন কেবল মাত্র নিজের দলের হয়ে সময় কাটিয়েছেন।
১৫ ই জুন ২০১৪ থেকে ৩ রা জিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত সর্বমোট ৯২ টা দেশ ভ্রমণ করেছেন। এটাও একটা রেকর্ড।
বিদেশ ভ্রমণের মোট খরচ ২০১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিটা দেশে ভ্রমণের জন্য ২২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে উনি বায়ুসেনার বিমান ব্যাবহার করেছেন। যদিও রাজনৈতিক কারনে সরকারি বিমান ব্যাবহার করা যুক্তিযুক্ত নয়, তবুও উনি করেছেন। বায়ুসেনার বিমান ভাড়া ৩১০০০ টাকা মাত্র (১৯৯১ থেকে এই রেট চলছে)। একবার ভাবুন, বেসরকারি চার্টার্ড প্লেন
হলে কি পরিমাণ খরচ হতো।
১৫ ই মে ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপন বাবদ ৪৩০৪৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এটাও দেশের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড।
২০১৪ — ২০১৫ সালে —
প্রিন্টিং মিডিয়া – ৪,২৪,৮৫০০০০০ টাকা,
ডিজিটাল মিডিয়া – ৪,৪৯,৯৭০০০০০ টাকা,
আউটডোর এ্যাড – ৭৯,৭২০০০০০ টাকা।
২০১৫ — ২০১৬ সালে —–
প্রিন্টিং মিডিয়া – ৫,১০,৬৯০০০০০ টাকা।
ডিজিটাল মিডিয়া – ৫,৪১,৯৯০০০০০ টাকা।
আউটডোর এ্যাড – ১,১৮,৪৩০০০০০ টাকা।
২০১৬ — ২০১৭ সালে —-
প্রিন্টিং মিডিয়া – ৪,৬৩,৩৮০০০০০ টাকা।
ডিজিটাল মিডিয়া- ৬,১৩,৭৮০০০০০ টাকা।
আউটডোর এ্যড – ১,৮৫,৯৯০০০০০ টাকা।
বিভিন্ন সরকারি চ্যানেলের পাশাপাশি “নমো টিভি” এবং কনটেন্ট টিভি নামক দুটো চ্যানেলের আগমন ঘটেছে। এটাও বিশ্বের ইতিহাসে বিরলতম ঘটনা। কোনো প্রধানমন্ত্রী কেবল মাত্র নিজের প্রচারের জন্য, নিজের নামে একটা টিভি চ্যানেল খুলেছেন, আগে কখনো পৃথিবীতে এইরকম ঘটনা ঘটেনি।
সরকারি চ্যানেল – DD নিউজ, কিষান মেট্রো, DD ইন্ডিয়া, DD ন্যাশনাল, DD ভারতী, লোকসভা TV, রাজ্যসভা TV, এছাড়াও দেশের প্রতিটা প্রান্তে, প্রায় প্রতিটা ভাষায়, DD চ্যানেল রয়েছে। যার দ্বারা সরকার অবিরত নিজের আত্ম-গরিমা প্রচার করে চলেছে। এই সমস্ত সরকারি চ্যানেলের বাৎসরিক বাজেট ৪৪,০৯০০০০০০ কোটি,
এছাড়া দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিও-র জন্য ২৮,২০,৫৬০০০০০ কোটি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।
মোদী সরকার মোট ৬০ মাসে ১৬১ টা যোজনার ঘোষণা করেছেন। সমস্ত যোজনা-র বরাদ্দকৃত বাজেটের চেয়ে এ্যডভার্টাইজমেন্ট বাজেট অনেক বেশী। কেবলমাত্র ৫০ টা যোজনার এ্যাড বাবদ- ৯৭,৯৩,২০০০০০০ টাকা খরচ করা হয়েছে।
এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১৮ কোটি ডিগ্রিধারী বেকার রয়েছেন। ১৭ লাখ বেকার PHD করার পরেও চাকরি পাচ্ছেন না।
ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যে পরিমাণ টাকা খরচের হিসাব দেখায়, তার ৪৬% টাকা কোথা থেকে আসে, সেটা IT ডিপার্টমেন্ট ও জানেনা। এর ৯০% টাকাটাই বিজেপি দলের একাউন্টে আসেএবং গোটা টাকাটাই ব্ল্যাক মানি।
দেশের ১৫ তম লোকসভা নির্বাচনের ৭ দফা ভোট করার খরচ……..
১ম দফা — ৯৫ আসন, ৫০ হাজার কোটি টাকা।
২য় দফা – ৯৭ আসন, ৮০ হাজার কোটি টাকা।।
৩য় দফা – ১১৫ আসন, ৮২ হাজার কোটি টাকা।
৪র্থ দফা- ৭১ আসন , ৯০ হাজার কোটি টাকা।
৫ম দফা -৫১ আসন, ২ লাখ কোটি টাকা।।
৬ষ্ঠ দফা – ৫৯ আসন, ২ লাখ কোটি টাকা।
৭ম দফা – ৫৯ আসন, ২ লাখ কোটি টাকা।
৫ বছর ধরে, এক একজন দেশসেবক আমাদের এই ঋণের ফাঁদে ফেলে, ক্ষমতার মাখন ভক্ষণ করে চলেছেন। যখনই কেউ এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাকে ক্ষমতাধারীরা দেশদ্রোহী-র তকমা দিয়ে থাকেন। আমরা বহুদিন ধরেই পুতুল নাচের পুতুলের মতো, মনিবের ইশারায় নেচে চলেছি। আগামী ৫ বছর এভাবেই কাটবেন ?