মোদির মন্ত্রী সভায় সাধু সেজে থাকা সারেঙ্গী আসলে একজন দাগি আসামি

 

    নিজস্ব সংবাদদাতা: রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতাপচন্দ্র সারঙ্গী আসলে একজন দাগি আসামি। নেই কোন বাড়ি, নেই কোন গাড়ি এমনই তার জীবন যাপন। কিন্তু নিরীহ দুই ফুটফুটে বাচ্চার হত্যার পেছনে উস্কানিদাতাকে এখনো ক্ষমা করতে পারেনি ভারতবাসী।এবারে মোদির মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব পেয়েছে। লোকদেখানো সাধু বেশে থাকা এই সাংসদ গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইন্স নামক যাজক এবং তার দুই বাচ্চাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার সেই ভয়াবহ ঘটনার সাথে যুক্ত ছিলেন। সেটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা যেটা ভারতবর্ষকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অস্পৃশ্য, সমাজ থেকে বিতাড়িত কুষ্ঠ রোগীদের নিয়ে কাজ করতেন কেওনঝোড়ের যে খ্রিশ্চান মিশনারি এবং শুধুমাত্র খ্রিশ্চান হওয়ার অপরাধে যাকে তার দুই নাবালক শিশু সহ ১৯৯৯ সালে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল বজরং দলের লোকেরা। প্রতাপচন্দ্র ষাড়ঙ্গী ছিলেন ওড়িশার বজরং দলের তৎকালীন প্রধান। দারা সিং এর শাস্তি হয় যদিও প্রতাপ চন্দ্র ষাড়ঙ্গীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যায় নি।
    এছাড়াও ২০০১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর ওড়িশা বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনায় নাম জড়ায় প্রতাপ ষাড়ঙ্গীর। বিধানসভা ভবনের থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরের ধর্ণা অবস্থান থেকে বজরং দলের একদল কর্মী হামলা চালায় বিধানসভায়। এদের হাতে নিগৃহীত হতে হয় বিধায়ক অশোক পানিগ্রাহী সহ একাধিক সাংবাদিক ও পুলিশকর্মীরা। দরজা, জানলা থেকে শুরু করে লাইব্রেরি পর্যন্ত ভেঙে তছনছ করে দেয়। এই ঘটনার পর পুলিশ মোট ৬৭ জনকে গ্রেফতার করে যার মধ্যে অন্যতম ছিল তৎকালীন বজরং দলের রাজ্য সভাপতি প্রতাপ ষাড়ঙ্গী। দাঙ্গা, লুটপাট, নিগ্রহ এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার অভিযোগে এদের গ্রেফতার করা হয়।
    এই নৃশংসতা কখনোই ধর্ম বা মঙ্গলজনক রাজনীতির ফসল হতে পারে না। স্টেইন্সের স্ত্রী এবং ওই দুই বাচ্চার মা দেশ ছাড়ার সময় বলেছিলেন, আমি হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছি। মূল অভিযুক্ত দারা সিং ও বজরং দল ঘনিষ্ট বারোজন, যারা যাবজ্জীবন খাটছে। কিন্তু তাদের মাথা খেয়ে খেয়ে ওই উন্মত্ততার স্তরে পৌঁছে দেবার জন্য দায়ী এই সারেঙ্গী ছিল।যারা আজ আক্ষরিক অর্থেই সাধু সাজছে।