মহালয়া উপলক্ষে বর্ধমানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্যায়ারা দুস্থ শিশুদের অন্নপ্রাশন দিল।

লুতুব আলি, বর্ধমান, ২৫ সেপ্টেম্বর : মহালয়ার দিন বর্ধমান বংশ গোপাল টাউন হলে এক অনারম্বর ভাবে দুস্থ শিশুদের অন্নপ্রাশনের ব্যবস্থা করেছিল। স্তত্র পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সুভাষপল্লী সারদাশ্রম এর মহারাজ স্বামী ত্রিদেবানন্দ জি। স্বাগত ভাষণ দেন সংস্থার সম্পাদক প্রলয় মজুমদার। পিতৃপক্ষের অবসান, মাতৃ পক্ষের সূচনা লগ্নে মহিষাসুরকে বধ করা ও পুষ্টির বার্তা বহনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বর্ধমান শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬ মাস থেকে দেড় বছর বয়সী শিশু ও মায়েদের হাজির করিয়ে তাদের অন্নপ্রাশনের ব্যবস্থা করে এক নজির সৃষ্টি করল। ব্যক্তি স্বার্থপরতা ও অবক্ষয়ের সমাজব্যবস্থার মাঝে বার্তা বহনকারী সংগঠনটি ইতিবাচক কাজকর্ম নিয়ে এদিন অনেকে সন্তোষ প্রকাশ করেন। ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে এই চরম সত্যটিকে উন্মেষ ঘটাতে টাউনহলের এদিনের অনুষ্ঠানে তার প্র্যাকটিক্যাল রূপ দেখা যায়। সংগঠনের সদস্যা অঙ্কিতা সাম বলেন, শৈশব অবস্থা থেকেই শিশুর দৈহিক ও মানসিক এবং সুষম খাদ্যের ব্যাপারে যত্ন নিলে তাদের সুঠাম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। শিশুদের সুষম খাদ্যের প্যাকেটের সঙ্গে নতুন জামা কাপড়, গলার হার, খেলনা, মাথার মুকুট শিশুদের উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয়। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী প্রত্যাশা মজুমদারের প্রতিক্রিয়া : এমন অনুষ্ঠান সমাজে খুবই বিরল ভাবে দেখা যায়। সংগঠনটির পুরোধা তথা শিক্ষক প্রলয় মজুমদার বলেন, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া পরিত্যক্ত ও দুর্বল মানুষদের সমাজের মূল স্রোতের মধ্যে ফিরিয়ে আনতে আমাদের মূল লক্ষ্য। এদিন বর্ধমান শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশু ও মায়েদের সংগঠনটি তাদের নিজস্ব খরচায় যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছিল। শিশুদের আন্তরিকভাবে উপহার তুলে দেওয়া এবং তাদের উৎসাহিত করার জন্য উপস্থিত শিশুদের মা ও পিতারা সংগঠনটিকে দুহাত তুলে আশীর্বাদ জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার কোষাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু মজুমদার, সহকর চৈতালি ঘোষ, অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওয়াসেফ আলী, সভাপতি সুনন্দা প্রামানিক, বিশেষ সদস্যা পূর্ণিমা মজুমদার।