|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- মুর্শিদাবাদ শুধুই নবাবের নয়,এই জেলার ইতিহাসে শশাঙ্কের নামও লেখা আছে স্বর্ণাক্ষরে। একদা এই জেলার ভৌগোলিক অবস্থান তাকে বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে বসিয়েছিল। শশাঙ্কের রাজত্বে কর্ণসুবর্ণ ছিল বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণতেই ছিল শশাঙ্কের রাজধানী। কর্ণসুবর্ণের অদুরেই ছোট্ট গ্রাম আন্দুলিয়া। আন্দুলিয়া গ্রামে রাজা শশাঙ্কের আমলে তৈরি হয়েছিল শীতলা তলা। একসময় মনে করা হত দেবী শীতলার রোষে বসন্ত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সেই সময় রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই শীতলাতলাতে পূজোর সুচনা করা হয়। সেই থেকে আজও চলে আসছে এই গ্রামের শীতলা পূজো। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে, চার দিন ধরে বিশেষ মেলা ও উৎসব চললেও সারা বছরই বহু দূরদুরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন পূজো দিতে। তাদের বিশ্বাস, এই মন্দিরে পূজো দিলেই মিটে যাবে বসন্ত রোগ। যুগ যুগ ধরে এই বিশ্বাস কে পাথেয় করে পূজো চলছে আজও। যদিও দোল পূর্ণিমার সময় এই পূজা কে কেন্দ্র করে চারদিন ধরে মেলা বসে। নানান পসরা সাজিয়ে চলে বিকিকিনি। মিষ্টি থেকে লোহার বাসন, কিংবা রোজকার ব্যবহার্য বস্তু সবই পাওয়া যায় এই মেলায়। দেড়শো বছর ধরে আয়োজিত এই মেলার শেষ দিনে হয় কীর্তন ও বাউল গান। প্রায় ষাটটি বাউলের দল গ্রাম পরিক্রমায় অংশ নেয়। এই পরিক্রমাকে ধুলোটও বলেন কেউ কেউ। আয়োজিত হয় সং সাজা, অষ্ট প্রহর কীর্তন,আলকাপ, কবিগানের আসর। মেলার শেষ দিনে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেবীর খিচুড়ি প্রসাদ গ্রহণ করেন গ্রাম বাসীরা।