মোস্তাক হোসেনের জি ডি চ্যারিটেবল মাধ্যমে বেস আন-নূর মডেল স্কুল গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ালো।

সামসুল হুদা আনার : বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের । আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এ মহামারীকে প্রতিহত করতে সরকারি প্রয়াসেরও অন্ত নেই। শুধু ভাইরাস মোকাবেলার উদ্যোগ নয়, লকডাউনের ফলে বিপন্ন জনসাধারণের পাশেও দাঁড়িয়েছে সরকার। বাংলার মানুষ যাতে অভূক্ত না-থাকে তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৮কোটি মানুষকে রেশনের মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য দিতে শুরু করে দিয়েছে। অনেক সহৃদয় ব্যক্তিও মুক্তহস্তে দান করছেন এমন খবরও আমরা হরহামেশা পাচ্ছি। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগছে, মোস্তাক হোসেনের জি ডি চ্যারিটেবল কী করছে এখন? জিডি চ্যারিটেবলে্র অবদানের কথা সর্বজনবিদিত। ইতোপূর্বে বন্যা, টর্নেডো, বা শিক্ষা-খাতে তিনি কোটি কোটি টাকা দান করেছেন, যারজন্য ড.গৌতম নিয়োগী তাঁকে একদিন ‘, মানবিকতার প্রতীকী মুখ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, সেই মিতভাষী, প্রচারবিমুখ মানুষটি এত নীরব কেন? না, তিনি নীরব নন। খোঁজ নিয়ে জানলাম, পতাকা পরিবারের কর্ণধার মোস্তাক হোসেনের নির্দেশে তাঁর জিডি স্টাডি সার্কেলের ন্যূনাধিক চল্লিশটি মিশন গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। শুরু করে দিয়েছে চাল-ডাল-আলু-সাবান বিতরণের কাজ। উত্তরবঙ্গের শিক্ষা-আন্দোলনের অন্যতম লড়াকু সৈনিক তথা বেস আন-নূর মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম জানালেন, খুব সাবধানতা্র সঙ্গে মাস্ক পরে ২০ জন কর্মীকে নিয়ে তাঁরা প্যাকেট তৈরি করাচ্ছেন। মিশনের ছুটি থাকলেও,ছুটি নেই সানু, সিরাজ, আলম, জাহাঙ্গীর, আলতাফের। শিক্ষাব্রতী মোকসেদ আলি, প্রধান শিক্ষক আয়ুব আনসার, রেসনাউল আলম, আব্দুর রাজ্জাক সাহেবদের তৎপরতায় গ্রামে গ্রামে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ৫ কেজি চাউল, ২ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম মসুরির ডাল ও একটি লাইফবয় সাবান। এখন পর্যন্ত ১৫০০ জনকে দেওয়া হয়ে গেছে। টার্গেট ১০,০০০। খাদেমুল ইসলাম জানালেন, আমরা উপলক্ষ্য মাত্র। মোস্তাক হোসেনের হুকুম তামিল করছি শুধু।
সেই বৃহৎ কর্মযজ্ঞের কয়েকটি খণ্ডচিত্র।