জীবনযুদ্ধে হার মানলেন অঞ্জলি, ব্যর্থ গেল নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের প্রচেষ্টা।

নতুনগতি,বীরভূম: বীরভূম জেলার মুরারই থানার পলশা গ্রামের সিমলাপাড়ায় তিনজনের ছিল ছোট্ট একটা পরিবার। ৭০ বছর এক বৃদ্ধার মেয়ে অঞ্জলি  ও মানসিক ভারসাম্যহীন নাতনি পিঙ্কি নিয়েই চলেছিল বেশ। ভিক্ষাবৃত্তি করেই বৃদ্ধা দুবেলা আহার জোগাড় করতেন কিন্তু হঠাৎ করেই কালোমেঘ নেমে আসে বৃদ্ধার পরিবারে। প্রদীপ জ্বালাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যান মেয়ে অঞ্জলি।  টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি, বৃদ্ধার দাবি ছেলেরা আমাদের দেখেনা ভিক্ষাকরেই সংসার চলত কি করে মেয়ের চিকিৎসা করাবো ভেবে পাইনি। তাই চিকিৎসা করাতে পারিনি। সেই পরিবারের করুনদশার কথা পলশা গ্রামের মৌসুমি খাতুন মুরারইয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা নিন্দা ও প্রতিবাদকে জানাই। এই সংস্থা তার বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয় দেখার পর চিকিৎসার সব দায়িত্ব তুলে নেন এমনকি ভেঙে পড়া পরিবারটিকে পুজোর আগে চাল,তেল, চিনি,ডাল ইত্যাদি সামগ্রী কিনে দেন। আগুনে পুড়ে অঞ্জলির অবস্থা চিকিৎসার অভাবে দিন দিন শোচনীয় হয়ে পড়তে থাকে তখনই নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবার ও কোলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হাত বাড়ালে বন্ধু অঞ্জলিকে কোলকাতা নিয়ে যাবার জন্য ব্যাবস্থা নেন, অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া পর্যন্ত হয়ে গেছিল  কিন্তু অঞ্জলিকে নিয়ে যাবার দিনেই মারা যান। বৃদ্ধার পরিবার ক্ষনিকের জন্য যেন এলোমেলো হয়ে যান। শোকের ছায়া নেমে আসে সিমলাপাড়াতে। মানসিক ভারসাম্যহীন রোগি পিঙ্কি মায়ের মৃত দেহের কাছে বসে থাকে ঠিকই কিন্তু সেও বুঝে উঠতে পারেনি তার মা দুনিয়ার মায়া ছেড়ে চলে গেছে। বৃদ্ধার বাড়িতে হাজির হোন নিন্দা ও প্রতিবাদ পরিবারের সমস্ত সদস্যরা চোখের জলে বিদায় দেন অঞ্জলিকে। সিমলাপাড়ার স্থানীয় মানুষদের দাবি চিকিৎসার অভাবে মারা গেল অঞ্জলি, বর্তমান ভারতবর্ষে এই চিত্র বার বার ফুটে উঠছে,গরীবদের জন্য কেউ নেই, প্রশাসনের কোনো কর্তারা আসেনি মৃতপ্রায় অঞ্জলির সাথে দেখা করতে। আমরা মন্দির মসজিদ নিয়ে আজ মেতে কিন্তু ভারতমায়ের সন্তানরা আজ বড় অসাহায়।