রাজনগরের নিমাই লোহার তাঁর বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কন্যাকে নিয়ে আজও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।

মহঃ সফিউল আলম, নতুনগতি, বীরভূম: বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লক, থানা ও পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত গাংমুড়ি — জয়পুর গ্রামপঞ্চায়েতের সাহাবাদের বাসিন্দা নিমাই লোহার(৬২)৷ চাষ এর কাজ করে কোনো রকমে দিন গুজরান করেন৷ তাঁর ৫ মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন একটি মেয়ে সান্ত্বনা লোহার(৩২)৷ শারীরিক নানা সমস্যা জন্মের পর থেকেই৷ দুটি হাতই অকেজো৷ জল বা খাবার খান খুবই কষ্টে মুখ লাগিয়ে৷ বাড়ির সদস্যদের কথায়, গবাদি পশু বা প্রাণীরা যেভাবে খায় বা জল পান করে ঠিক সেই ভাবে৷ তাঁকে পড়াশুনা করাতে পারেননি৷ সান্ত্বনাকে নিয়ে তাই দুশ্চিন্তায় উদ্বেগে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন আজও নিমাইবাবু ও তাঁর বাড়ির লোকেরা৷ একটি প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ছাড়া আর কিছুই মেলেনি৷ স্বাভাবিক কারণে ক্ষোভ প্রকাশ পরিবার ও গ্রামবাসীদের একাংশের৷

    সম্প্রতি সাহাবাদ গ্রামে গিয়ে ঠিক তেমনই লক্ষ্য করা যায়৷ দেখা যায়, সান্ত্বনা কথা বলতে পারেন না৷ দুটি হাত পুরোপুরি অকেজো৷ ইশারায় জল চান, একটি পাত্রে জল দেওয়া হয়৷ গ্রামের শিক্ষা কেন্দ্রের বারান্দায় বসে হাত দুটি পিছনে নিয়ে গিয়ে মুখ দিয়ে তা পান করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ খুবই কষ্টে সামান্য জল পান করলেন৷ দেখলে চোখে জল আসা অস্বাভাবিক নয়৷ অতীতে পরিবারের পক্ষ থেকে অফিস মহলে যোগাযোগ করে ৭৬ শতাংশ যুক্ত একটি প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট যোগাড় করতে পেরেছেন ঠিকই৷ কিন্তু তাঁদের কথায়, ‘ওই টুকুই হয়েছে, আর কোনো সুযোগ সুবিধা পাইনি৷’ হয়নি যথাযথ চিকিৎসাও৷ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা নজরে আসবে৷ নিমাই বাবুর পুত্র পেশায় রাজমিস্ত্রি রবীন লোহার বলেন, শুধু তাই নয় ঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হলে শতাংশের হার আরও কিছুটা বাড়বে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস৷ পরিবারের সদস্য।