|
---|
উত্তর বঙ্গ: বন্ধ সবকিছুই,সবচাইতে ক্ষতি হল পর্যটন শিল্পের।আর দার্জিলিং এর কথা যত না বলা হয় ততই ভাল।গোটা দার্জিলিং থমথমে হয়ে গেছে।যেখানে একমাস আগেই ছিলো তিলধারনের জায়গা ধরার যায় না এই রকম অবস্থা।করোনার থাপ্পড়ে একেবারেই যেটা শুন্যে চলে গেছে।দার্জিলিং এর হোটেলগুলিতে এখন শতকরা দশ ভাগও পর্যটক নেই,আর গাড়ি চালকেরা তো কেদেই পারছেন না,সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প এখন বিশ বাও জলে,একা ডুয়ার্সেই ক্ষতি প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকার মতন,অন্যান্য জায়গা তো ছেড়েই দেওয়া হল,একেবারেই ধুকছে পর্যটন শিল্প,আর তার সাথে সাথে শঙ্কটজনক অবস্থায় চলে গেছেন এর সাথে যুক্ত থাকা সকল কর্মীরা।শিলিগুড়িতে বহু বেসরকারি পর্যটন সংস্থা প্রায় বন্ধের পথে,যেখানে একসময় কলকাতা থেকে শিলিগুড়িতে বুকিং করা যেতো।পর্যটন শিল্পের রমরমা বাজার ছিলো শিলিগুড়িতে একসময়,যেটা গত দুবছরে এতটাই খারাপ অবস্থায় চলে গেছে যে আগামীদিনে এই ব্যাবসায় উত্তরবঙ্গ থেকে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করবেন কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাবে।মিরিকের হোটেলগুলির প্রচণ্ড খারাপ অবস্থা,এই করোনা আবহে মিরিকের হোটেল অধিকাংশ দিনই পর্যটকশুন্য থাকছে।
সবমিলিয়ে প্রচণ্ড খারাপ অবস্থায় আছে উত্তরবঙ্গের পর্যটন,করোনা আবহে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে সবকিছুই,যেখানে উত্তরবঙ্গের অন্যতম অলংকার ছিলো পর্যটন শিল্প করোনার আচড়ে প্রায় দিশাহারা অবস্থা পর্যটন দপ্তরগুলির।হাজার হাজার কর্মী কাজ হারিয়েছেন,আর বহু পর্যটন ব্যাবসায়ী তাদের ব্যাবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন।সবমিলিয়ে পর্যটন শিল্প এখন সবচাইতে সঙ্কটজনক অবস্থায় চলে গেছে এই করোনা আবহে।ডুয়ার্স টুরিজম ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সভাপতি পার্থসারথি রায় জানালেন গত দু সপ্তাহে আলিপুরদুয়ার এবং ডুয়ার্স এলাকায় প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে,শীঘ্রই যদি পর্যটন শিল্পের দরজা না খুলে যায় তবে এই ক্ষতির পরিমান কোথায় গিয়ে দাড়াতে পারে কেউ বলতে পারবেন না।