বুধবার গোটা রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠকের মধ্যে দিয়ে ৫ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের চেক প্রদান করেন

নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্ব বাংলা বানিজ্য সন্মেলনের মধ্যে দিয়ে রাজ্যে লক্ষ্মী নিয়ে আসার প্রয়াস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ এছাড়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের মহিলাদের হাতে চেক তুলে দেয় রাজ্য সরকার। বুধবার গোটা রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল বৈঠকের মধ্যে দিয়ে ৫ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের চেক প্রদান করেন। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি হুগলি জেলার চুঁচুড়ার রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত হয় চেক প্রদান অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী এবং পঞ্চায়েত গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না, পরিবেশমন্ত্রী রত্না দে নাগ, হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মাহবুব রহমান হুগলি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পি. দীপপ্রিয়া, সাংসদ অরূপ পোদ্দার, অসিত মজুমদার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।বুধবার সকাল বারোটা নাগাদ চুঁচুড়া রবীন্দ্রভবনে ভার্চুয়ালি মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডার এর প্রকল্পের টাকার চেক তুলে দেন স্থানীয় মহিলাদের হাতে। একুশে বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় চমক ছিল লক্ষীর ভান্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি বাড়ির মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ৫০০ টাকা করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ২৫-থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। তপশিলি জাতি উপজাতি মহিলাদের ক্ষেত্রে এই টাকার অংকটা মাসে ১০০০ টাকা। আবেদনকারীদের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থাকলে সুবিধা পাওয়া যাবে। লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিরোধীরা যতই সরকারকে কটাক্ষ করুক না কেন বাংলার মহিলাদের মধ্যে লক্ষীর ভান্ডার যথেষ্ট সাড়া জাগিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সব সময় তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বাংলার মা-বোনেদের উন্নতির কথা বলেন। বলবেনই না বা কেন তৃণমূলের ভোট ব্যাংকের ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার হল মহিলারা। এক কথায় বলতে গেলে তৃণমূলের লক্ষ্মী হল বাংলার মা বোনেরাই। সেই লক্ষ্মীদের হাতেই লক্ষ্মীর ভান্ডার এর টাকার চেক তুলে দিয়ে মা বোনেদের জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী।