|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:-১৩ বছরের এক কিশোর। নাম বিশ্বজিৎ দেউরি। তার মা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাবা ছোট একটি খাবারের দোকান চালান। সংসারের আয় বলতে এই খাবারের ব্যবসা। কিন্তু হাসপাতালে স্ত্রীর পাশে থাকতে গিয়ে বন্ধের মুখে সেই দোকান। এই পরিস্থিতিতে দোকানের হাল ধরতে এগিয়ে এলো একরত্তি ছেলে বিশ্বজিৎ।দোকানের নাম হরিচাঁদ মুখরোচক। হাবড়া রেলওয়ে স্টেশনের দুই ও তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে এই দোকান। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, দোকানের কাউন্টারের সামনা সামনি হতে পায়ের তলায় একটা টুল রেখে তার উপর দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট বিশ্বজিৎ। একা হাতেই ক্রেতাদের চাহিদা মতো খাবার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি খাবারের মূল্য বুঝে নিচ্ছে সে।এই বয়সে স্কুলে না গিয়ে কেন দোকানদারি করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ১৩ বছরের বিশ্বজিৎ জানায়, “বাবা হাসপাতালে গিয়েছে মাকে দেখতে। আবার দোকান বন্ধ থাকলে, মায়ের চিকিৎসার খরচ কোথা থেকে জোগাড় হবে। তাই বাবাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসা। তবে ব্যবসার পাশাপাশি স্কুলেও যাচ্ছি। কিন্তু বাবা যেদিন মাকে দেখতে হাসপাতালে যায়, সেদিন আর স্কুলে যাওয়া হয় না। এই তো এ বছর অষ্টম শ্রেণিতে উঠলাম।”আর এমন ছেলে পেয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন বাবা সঞ্জয় দেউরি। সে জানায়, “ছেলে সহযোগিতা করায়, এখন আর ব্যবসা সামলাতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। তবে আমি চাই ছেলে পড়াশোনা শিখে বড় হোক। এবং ওর মা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক। দোকানে আসা ক্রেতারা মনে করেন, দায়িত্ব নেওয়া অবশ্যই ভবিষ্যতের পক্ষে ভাল, কিন্তু তার সঙ্গে অবশ্যই পড়াশোনাটাও চালিয়ে যেতে হবে বিশ্বজিৎকে।”