টাকা দিলেই অবৈধভাবে অ্যাবরশন পূর্ব মাগুরমাড়ি এলাকায়

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: টাকা দিলেই হচ্ছে অবৈধভাবে অ্যাবরশন!প্রশাসনের নাকের ডগায় ধূপগুড়ি শহর থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে গিলান্ডি মোড় পূর্ব মাগুরমাড়ি এলাকায় একটি চলছে এই অবৈধ কারবার।

    ইতিমধ্যেই অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে একাকার কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ ঘটনা নিয়ে ধূপগুড়ি ব্লক সাস্থ্য অধিকারীকের কাছে লিখত আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন।

    যখন ভ্রূণহত্যা নিয়ে যখন সরকার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক প্রচার চালাচ্ছে পোস্টারিং করছে বিভিন্ন ওয়ালে।সেই জায়গায় দাড়িয়ে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে জেলাজুড়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা।

    নাম জড়িয়েছে এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরও। খবর পেয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেই ফার্মেসিতে পৌছলে নজরে আসে রীতিমতো ঘরের ভিতরে সারি সারি পাতা রয়েছে বেড, যা দেখলে কোন ভাবে মনে হবে না ফার্মেসি মনে হবে কোনো ছোট খাটো প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা বেসরকারী নার্সিং হোম।

    কি কারণে একটি ফার্মেসিতে এভাবে সারি সারি বেড পাতা রয়েছে?যা দেখেই আপন মনে প্রশ্ন জাগতে পারেই।আর এই তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়েই এদিন রীতীমতো চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো আমাদের হাতে।

    এলাকাবাসী তরফ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছিল সে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে এখানে ভেতরেই পাতা রয়েছে সারি সারি বেড। আর যার পাশেই মজুদ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন রকমের ঔষধ ও ইনজেকশন।অভিযোগ এখানেই ভর্তি রেখে অ্যাবরশন অথবা বেআইনি গর্ভপাত করা হয় মহিলাদের।

    এদিকে ফার্মেসির বিরুদ্ধে ওঠা গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন ফার্মেসির মালিক অমর রায় তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো কার্যকলাপ এখানে হয় না। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এর আগে একজন সরকারি চিকিৎসক এখানে আসতেন করোনার পর থেকে আর আসেনা।তবে কি ভাবে কার অনুমতিতে তিনি এত বেড ভেতরে রাখছেন এর কোনপ্রকার সদুত্তর দিতে পারেননি।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দালালের এবং রোগীর আত্মীয়ের কথোপকথন ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে তোর হাতে পৌঁছেছে সেই অডিও টেপ। হতে শোনা যাচ্ছে কিভাবে এই ফার্মেসিতে অবৈধভাবে এ কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে। যদিও সেই অডিও টেপের সত্যতা আমরা যাচাই করিনি।

    ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠছে ধূপগুড়ি শহরে এবং গ্রামীণ এলাকায় যেখানে বিভিন্ন ফার্মেসি রয়েছে তারা কতটা সরকারি বিধি নিষেধ মেনে চলছেন। এবং সরকারী নজরদারি তাদের উপর কতটা রয়েছে।

    স্থানীয় তাপস রায় ও শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, তার বাবার আমলেও এই ধরনের কার্যকলাল হতো। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ ছিলো। সাম্প্রতিক কালে আবারও শুরু করেছে।আমরা পুরো ঘটনা ব্লক সাস্থ্য আধিকারিক কে জানিয়েছি এমনকি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কিন্তু আমি অনেক হবে কোন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আজ সংবাদ মাধ্যমের শরণাপন্ন হয়েছি।

    ঘটনা প্রসঙ্গ জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুজন আধিকারিকদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে যেখানে একটি নির্দিষ্ট ওষুধের দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এটা আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাঠালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।