|
---|
-
নতুন গতি সেখ রিয়াজ উদ্দিন, বীরভূম: বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের রুপুষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর-পশ্চিমের শেষ প্রান্তে অবস্থিত আনন্দ নগর গ্রাম। পন্ডিতপুর প্রতাপপুর প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা থেকে নিম বাবুর বাঁধ সংলগ্ন আনন্দনগর লোকপুর রাস্তাটি জেলা পরিষদের অর্থানুকূল্যে পাকা হয় এবং সেটা লোকপুর দুবরাজপুর ভায়া ডেমুরিয়া রাস্তায় মিলিত হয় । কিন্তু আনন্দনগর বর্তমানে নিরানন্দনগরে পরিণত ।ঘটনার বিবরণে প্রকাশ জেলা পরিষদের দেওয়া সাইন বোর্ডে আনন্দনগর থেকে লোকপুর নিচু পাড়া নাম থাকলে ও পাকা রাস্তাটি মূলত লডাঙ্গাল খড়বোনা মাঝ রাস্তা বরাবর চলে গেছে। লডাঙ্গাল গ্রামের দুই প্রান্ত দিয়ে আনন্দনগরে প্রবেশ করতে হয় , দুই প্রান্তের দূরত্ব এক কিলোমিটার করে এবং সম্পূর্ণ কাঁচা অবস্থায় পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ । এই দু দিনের অল্প বৃষ্টিতেই দুদিকে গ্রামে ঢোকার রাস্তা কাদায় চ্যাট চ্যাটে হয়ে গেছে, ফলে সাইকেল, মোটরসাইকেল এমনকি খালি পায়ে ও হাঁটা দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকের বক্তব্য এ যেন জম্মু-কাশ্মীরের নেই গ্রামবাসীরা ও গৃহবন্দী । সবুজ সাথী প্রকল্পে এই গ্রামে অনেক পড়ুয়া সাইকেল পেলেও রাস্তা় পারাপার করতে না পারায় পায়ে হেঁটে স্কুলে যাচ্ছে তাও মূল রাস্তা ছেড়ে মেঠো আলপথ ধরে। অনেকে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দূরত্ব কেওবা কাদার ভয়ে। গতকাল একটি চারচাকা মালবোঝাই গাড়ি কাদায় আটকে গেলে শেষ পর্যন্ত ট্রাক্টর দিয়ে তুলতে বাধ্য হয়। সেই ভয়ে আজকে একটা মারুতি গাড়ি গ্রামে ভাড়া এলে ও ঐ রাস্তায় ঢোকার সাহস করেনি ।গ্রাম থেকে এক কিমি দূরত্বে দাঁড়িয়ে সেটা যেমন স্বীকার করেন মারুতি ড্রাইভার তেমনি মারুতির প্যাসেঞ্জার ও স্বীকার করে বলেন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যাচ্ছি বোলপুর, তাড়াতাড়ি থাকলে ও উপায় নেই গ্রামে গাড়ি ঢোকার। রাস্তার অবস্থার জন্য সত্যি খুবই কষ্টের মধ্যে রয়েছি আমরা । রাস্তার সমস্যার কথা লোকপুর হাই স্কুলে পাঠরত ছাত্রী অঙ্কিতা চৌধুরী, আনন্দ নগরের দুধ ব্যবসায়ী রাজু মন্ডল ,বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের দের নিয়ে যাতায়াতকারী তাপস মন্ডল , স্থানীয় যুবক সোমনাথ মন্ডল,পার্শ্ববর্তী গ্রামের ব্যবসায়ী মান্নান হোসেন সহ সকলে একবাক্যে কাঁচা রাস্তা দিয়ে পারাপারের অসুবিধা কথা স্বীকার করেন এবং রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার দাবি জানিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।