|
---|
আজিজুর রহমান, গলসি : গলসিতে গলায় দড়ি আত্মঘাতী যুগল। প্রেমের এমন নিষ্ঠুর পরিনতি জেরে স্তম্ভিত গোটা এলাকার মানুষ। ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। মৃত যুগলের নাম পূর্ণিমা ক্ষেত্রপাল (১৫) ও দেবা বাউরী ওরফে শুভঙ্কর (১৬)। মৃত দুইজনই নাবালক ও নাবালিকা।মৃতের আত্মীয় সুমন বাউরী জানান, পূর্ণিমা তার কাকার মেয়ে ও দেবা তার বন্ধু। গতকাল রাত এগারোটা প্রযন্ত তার সাথে গল্প করেছে দেবা। সকালে উঠে তিনি শোনেন দেবার বাড়িতে একত্রে আত্মহত্যা করেছে দুইজন। একটি বাঁশে দুইজন গলায় দড়ি নিয়েছে বলে তিনি জানতে পারেন। তিনি বলেন, পূর্ণিমা রামগোপালপুর স্কুলে নবম শ্রেণীতে পরত। তার সাথে যে দেবার প্রেম ভালবাসা ছিল সেটা তিনিও জানতেন না। তবে বিষয়টি আগে জানলে তিনি পরিবারের লোকদের বলতেন। বুদবুদ থানার ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দা তথা পূর্ণিমার শ্বশুর সঞ্জয় বাউড়ী জানান, গত ইংরেজী ৩ রা আগস্ট তার ছেলের সাথে বিয়ে হয় পুর্ণিমার। তবে তিনি প্রমের বিষয়ে কিছু জানতেন না। আজই সকালে ফোনে খবর পান যে তার বৌমা গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করছে। স্থানীয়রা জানান, পূর্ণিমা ক্ষেত্রপালের আদি বাড়ি বর্ধমানের পালিতপুর গ্রামে। সে গলসির জাগুলিপাড়ায় মামার বাড়িতে থাকত। কিছুদিন পূর্বে এখান থেকেই বিয়ে হয়েছিল পূর্ণিমার। দুইদিন আগে জাগুলিপাড়ায় এসেছিল। আজ শ্বশুর বাড়ি ফিরে যাবার কথা। তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক পরিনতি হল। তারা বলেন, প্রেমের বিষয়টি গ্রামের অনেকের অজানা ছিল। পূর্ণিমা শিক্ষিত হবার পরও এমন ঘটনা ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদিন বেলা দশটা নাগাদ দুজনের দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র আনে পুলিশ। সেখানেই দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তারপরই তাদের মরদেহ ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ। এমন ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা।