স্বৈরাচারী আক্রমনের স্বীকার মাদ্রাসার চাকরি প্রার্থীরা

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: গত শুক্রবার যখন অনশনকারী মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার্থীরা নামাজ পড়ছিলেন ঠিক সেই সময় নুন্যতম আলোচনা না করেই তাঁদের পিছন থেকে গেঞ্জী জিনস পরা কলকাতা পুলিস লাঠি চার্জ করে ।

    অনশনকারীরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী কেড়ে নেওয়া হয় এবং অনশন মঞ্চ পুরোপুরি ভেঙে
    দেয়।ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে সেখান থেকে শহীদ মিনারে জমায়েত হলে সেখানেও লাঠিচার্জ করে তখন সকলে দৌড়ে গিয়ে টিপু সুলতান মসজিদে প্রবেশ করে কিন্তু পূলিস মসজিদ কমিটিকে চাপ দিয়ে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে এবং সেখানেও লাঠিচার্জ করে গলা ধাক্কাদিয়ে বের করে শিয়ালদাহ’র বাসে তুলে দেয়।
    অনশন মঞ্চ থেকেই মনোজ চক্রবর্তী , মিজানুর রহমান ও মইনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
    পুলীসি অত্যাচারে গুরুতর আহত মইনুল ইসলামকে কোথায় ভর্তি করা হয়েছে , কেমন আছে সে বিষয়ও পুলিস জানাইনি ।
    ফুরফুরা শরীফ আহলে সু্ন্নাতুল জামাতের কর্নধারকে উক্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যদি এস. এস. সির অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আশ্বাস দিতে পারেন তাহলে কেন বারবাক মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো সত্বেও চাকরির পরিক্ষার্থীদের সমাধান করলেন না?
    কেন আইনি জটিলতায় আটকে দেওয়া হয়েছে আন্দোলন কারীদের ভবিষ্যৎ?
    কেন গনতান্ত্রিক দেশে হবু শিক্ষকদের প্রতি স্বৈরাচারী আক্রমন করা হল?
    সব থেকে বড় কথা আজ কেন মাদ্রাসা সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ন পরীক্ষার্থীদের অনশন করতে হল?
    তিনি বলেন বিগত কয়েক বছর থেকেই রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া জটিল করে রেখে দূর্নীতির আখড়াতে পরিনত করেছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে। রাজ্য সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার দূর্নীতির ফলশ্রুতি হল হবু শিক্ষকদের অনশন মঞ্চ।
    তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, ২০১৪ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী ষষ্ট মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় , বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় শুন্যপদ ৩১৮৩টি ।বিভিন্ন আইনি জটিলতায় বন্ধ হওয়ার কারনে ২০১৮ সালের ১৭ মে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় ২৬০০’র বেশি নিয়োগ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে ৩১৮৩ টি শুন্যপদের কথা বললেও সুপ্রীমকোর্টে হলফনামা দেয় রাজ্য সরকার ২৫৭০টি । অথচ কমিশনের লিখিত পরিক্ষা়য় উত্তীর্ন হয়েছিলেন ৩৭০৬জন।ইন্ট্যারভিউ দেওয়ার পর সংখ্যা হয় ৩২০০ জন কিন্তু সরকার বিজ্ঞপ্তির ৩১৮৩টির বদলে ২৫৭০টির প্যানেল প্রকাশ করে ও তাঁদের মধ্যে নিয়োগ করা হয় ১৯৭০জনকে অর্থাৎ সরকারের বিজ্ঞপ্তির ১২১৩টির কম শুন্যপদ।
    তিনি সরকারের প্রতি গুরুতর অভিযোগ করে
    বলেন এখানেই ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে জটিল করেছে শুধু তাই নয় এরপর নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং শুরু হয় ২০১৮ সালের ২২শে জুন, এবং এই সময় ১৫জন প্রার্থীর “রেকমেন্ডশন কপি” দিতে অস্বীকার করে কমিশন ।
    উক্ত পনের জন মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন কিন্তু কোন সমাধান হয়নি ।এরপর আদালতে সিঙ্গেল বেঞ্চ পনের জনকে রেকমেন্ডশন কপি দিতে বলে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফকে কিন্তু তিনি আদালতের রায়কে অবমাননা করে এবং ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন যা আগামী ৫ই এপ্রিল শুনানী ।।
    তিনি রাজ্য সরকারকে ও কমিশনকে হুঁশিয়ারী দিযে বলেন যে বা যারা এই নিরীহ মাদ্রাসা সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ন ছেলেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলে খেলা করছে মুক্ষমন্ত্রী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন আর অবিলম্বে সমস্ত শুন্যপদে নিয়োগ করতে হবে এবং পুলিসী অত্যাচারের নিন্দা করে বলেন দোষী পুলিসদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে নইলে আগামীদিনে কলকাতার রাজপথ স্তব্ধ করে দেব।